Last Updated on মার্চ ৪, ২০২৫ by
পুড়ে যাওয়া দোকানের সঙ্গে নিভে গেছে প্রতিবন্ধী সেতাউরের স্বপ্নও
বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। চোখেও পুরোপুরি দেখতে পান না। এক পাও নেই, চলতে হয় হুইলচেয়ারে। প্রতিবন্ধী হলেও বোঝা হয়ে থাকতে চাননি। প্রায় ৫ মাস আগে দুটি এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলেন দোকানদারি। দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিস্তির টাকা পরিশোধও করছিলেন। কিন্তু গত শনিবার রাতের আগুনে পুড়ে গেছে তার দোকান। পুড়ে গেছে তার স্বপ্নও। এখন অন্যদের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে প্রতিবন্ধী প্রবীণ এই মানুষটিকে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সেতাউর রহমান। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের রনি বাজার এলাকায়। ওই এলাকার মৃত হেরাস আলির ছেলে তিনি।
গত শনিবার রাতে অজ্ঞাতনামা কে বা কারা সেতাউর রহমানের দোকানটিতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেদিন থেকে গ্রামবাসীর সাহায্যের চাল ও সামান্য টাকা দিয়ে চলতে হচ্ছে তাকে।
সেতাউর রহমান বলেন, আমার শেষ সম্বল প্রায় ১ লাখ টাকার মালামালসহ দোকানটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব। আমার এক পা নেই, চোখেও পুরাপুরি দেখতে পাই না। প্রায় পাঁচ মাস আগে আশ্রয় ও শক্তি ফাউন্ডেশন নামের দু্িট এনজিও থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে বেচাকেনা শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে কিস্তির টাকা শোধ করতাম ও কোনোরকমে সংসার চালাতাম। এখন সেটিও পুরোপুরি বন্ধ।
তিনি আরো জানান, সোমবার (৩ মার্চ) আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি আবেদন করেছি।
স্থানীয় জেম আলি ও মতিউর রহমান জানান, সেতাউর রহমান খুবই অসহায়। দোকানটিই ছিল তার একমাত্র সম্বল। আমরা গ্রামবাসী সরকারের কাছে তার পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলি জানান, অসহায় ব্যক্তিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।