টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আবারও পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সিএফটি ওজনে পাথর রপ্তানি করবে মহদিপুর এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের রপ্তানি কারকেরা। শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতির মধ্যস্থতায় সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনআডস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পাথর আমদানিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন কল্পে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও ভারতের মালদা মার্চেন্ট চেম্বারের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা। বৈঠকে মহদিপুর এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধ দল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, সমঝোতা বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা রবিবার সকাল থেকে আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত গত ৬ মার্চের পূর্বের নিয়মে পাথর রপ্তানি করবে এবং এই সময়ের মধ্যেই বোল্ডার পাথরের ব্যবাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশী আমদানি-রপ্তানিকারকের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সোমবার মালদা মার্চেন্ট চেম্বারে বঠক করবেন এবং বৃহস্পতিবার মালদা মার্চেন্ট চেম্বারের প্রতিনিধি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারে বৈঠকে বসবেন। রবিবার সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, নি¤œমানের পাথর সরবরাহ, দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে গত শনিবার থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখে সোনামসজিদস্থল বন্দর পাথর আমদানি গ্রুপ। ফলে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরের রপ্তানিকারকেরা সকল পণ্য বন্ধ করে দিলে টানা ৭ দিন বন্ধ থাকে আমদানি কার্যক্রম। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়।