Last Updated on ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ by
পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েনি খেজুরের দামে
আর এক মাস পরেই পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। আর রমজান মানেই ইফতারিতে রাখা চায় খেজুর। তাই রোজাদারগণ চেষ্টা করেন সাধ্যের মধ্যে খেজুর কিনে ইফতারিতে রাখতে।
এবার সরকারিভাবে খেজুর আমদানিতে ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ায় পাইকারি বাজারে খেজুরের দাম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তবে খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। খুচরা বিক্রেতারা আগের দামেই বিক্রি করছেন। তারা বলছেন, তাদের এই খেজুর আগেই কেনা ছিল। হঠাৎ করে দাম কমে যাবে তা তারা বুঝতে পারেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের পুরাতন বাজারের খেজুর ব্যবসায়ী মো. এনামুল হক বলেন- গতবছর এই সময়ে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর পাইকারি বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ১৮০ টাকা, এবার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা। তিনি এবার ১০ কেজির এক কার্টন দাবাস খেজুর বিক্রি করছেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকায়। যা গত বছর ছিল ৪ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে ১০ কেজির এক কার্টন খালাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৪৫০ টাকায়। যা এবার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়। ১০ কেজির সায়ের খেজুরের এক কার্টনের দাম ছিল ৩ হাজার ৪০০ টাকা, যা এবার ২ হাজার ৮০০ টাকা। ভালো মানের এক কেজি দাবাস খেজুরের দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, যা এবার ৪ হাজার ২০০ টাকা। এক কেজি খোলা খেজুরের দাম গতবছর ছিল ১৫৫ টাকা, এবার ১৩৮-১৪২ টাকা।
এদিকে জেলাশহরের নিউমার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী বায়েজিদ জানান, মানভেদে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মাগরুম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি আজুয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং বরই খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা। তিনি জানান, গতবারের দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব খেজুর। তবে রমজান আসতে আসতে দাম আরো বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
খেজুর ব্যবসায়ী মো. এনামুল হক বলেনÑ রমজান মাসকে সামনে রেখে এরই মধ্যে আমরা অনেকেই পুরাতন দামে অর্থাৎ বেশি দামে খেজুর কিনেছি। এছাড়া গতবারেরও খুজর মজুত আছে। কিন্তু হঠাৎ করে সরকার খেজুর আমদানিতে ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ায় খেজুরের দাম কমেছে।