বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on নভেম্বর ১৮, ২০২৪ by

পাঁচ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাস্থ্য, শ্রম ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। গত রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত পৃথকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদকে প্রধান করে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করেছে সরকার।
এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিভ অধিদপ্তরের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, গাইনোকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েরা আক্তার, পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এমএম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র ড. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের স্কয়ার ক্যানসার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র বিজ্ঞানী ডা. আহম্মেদ এহসানুু রহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।

শ্রম সংস্কার কমিশন
সরকার সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন; বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র-টিইউসি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি তপন দত্ত; বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম নাসিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি এম কামরান টি রহমান; বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আখতার চৌধুরী, আলোকচিত্রী ও শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক তাসলিমা আখতার এবং একজন ছাত্র প্রতিনিধি।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
১১ সদস্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে প্রবীণ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে।
এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিজম সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জিমি আমির, টেলিভিশন মালিক সমিতির প্রতিনিধি, ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপ-সম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন।
পৃথক প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়, তিনটি কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে ও সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদমর্যাদা ও বেতন পাবেন এবং সুবিধা ভোগ করবেন। তবে, তাদের কেউ যদি সুবিধা না নিয়ে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন
নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
৮ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে।
এছাড়া কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এএমএম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ’র (বিআইএসএস) পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
পৃথক প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়, তিনটি কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে ও সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদমর্যাদা ও বেতন পাবেন এবং সুবিধা ভোগ করবেন। তবে, তাদের কেউ যদি সুবিধা না নিয়ে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক অধিকার ও নারী বিষয়ক আরো চারটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার।

About The Author

শেয়ার করুন