Last Updated on জুলাই ৪, ২০২৪ by
পাঁচ ক্রীড়াবিদ যাবেন প্যারিস অলিম্পিকে
২৪ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বাংলাদেশের পাঁচ ক্রীড়াবিদ। পাঁচ জনের মধ্যে একজন সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বাকি চার জন ওয়াইল্ডকার্ড পেয়ে খেলতে যাবেন। চার জনের ওয়াইল্ডকার্ড পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে। সোমবার রাতে সর্বশেষ পেয়েছেন সাঁতারের দুই ক্রীড়াবিদ সামিউল ইসলাম রাফি এবং সোনিয়া খাতুন ওয়াইল্ডকার্ড পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ। রাফি ১০০ মিটার এবং সোনিয়া ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে লড়বেন। ফেডারেশন জানিয়েছে ৪ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে রাফি এবং সোনিয়াকে ওয়াইল্ডকার্ড দিয়েছে। অন্য দুজন ছিলেন সোনিয়া আক্তার এবং আসিফ। ফেডারেশনের দাবি ৪ জনেরই টাইমিং পাঠানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক সুইমিং ফেডারেশনে, ওখান থেকেই এই দুটি নাম উল্লেখ করে দিয়েছে। রাফি বর্তমানে থাইল্যান্ডে অনুশীলন করছেন। সাঁতার ছাড়াও অ্যাথলেটিকসে ওয়াইল্ডকার্ড পেয়েছেন লন্ডন প্রবাসী ইমরানুর রহমান, তিনি ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌড়াবেন। ইমরানুর মূলত ৬০ মিটার স্প্রিন্টের প্লেয়ার, তিনি ১০০ মিটারের না। তারপরও তাকেই বারবার পাঠানো হয়। দেশের দ্রুততম মানব হলেও অলিম্পিক গেমসের মতো বিশ্বসেরা আসরে গিয়ে ১০০ মিটারে কিছুই করতে পারছেন না। ভারত অন্যান্য ইভেন্টে চেষ্টা করে পদক জয় করছে। তারপরও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন এসব নিয়ে ভাবছে না। শুটিংয়ে ওয়াইল্ডকার্ড পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। একমাত্র ক্রীড়াবিদ সাগর ইসলাম আর্চারিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সাগরের পর অন্যরা ওয়াইল্ডকার্ড পেয়েছেন। এটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিল থেকে দেওয়া হয় অংশগ্রহণ করার জন্য। বাংলাদেশ চেয়েছিল আরো কয়েকটি ওয়াইল্ডকার্ড। বক্সিং এবং গলফেও আশা করেছিল পাওয়া যাবে। এখন আর সেই আশা নেই। ৪টা কার্ড পেয়েছে। এর বেশি হচ্ছে না। বিশেষ করে বক্সিংয়ে আশাটা বেশিই ছিল। কারণ বক্সিংয়ে ৫৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে এশিয়ান গেমসে ভালো করেছিলেন সেলিম হোসেন। ৫ম হয়েছিলেন তিনি। ৪০ দেশের ৫৭ বক্সারের মধ্যে ৫ম হওয়াটা অনেক কঠিন ব্যাপার। সেলিম হোসেন পদকের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি তিনি। বক্সিং ফেডারেশন খুব করে চেয়েছিল যেন সেলিমকে পাঠানো যায়। এখন আর আশা নেই। গত বুধবার বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তুহিন জানিয়েছেন অলিম্পিকে আমাদের বক্সারের যাওয়া হচ্ছে না। ওয়াইল্ডকার্ড পাচ্ছি না। আমাদের আর কোনো আশা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম সেলিম হোসেনকে পাঠাব। ওর পারফরম্যান্স ভালো। আশা ছিল পেয়েও যাব। কিন্তু এতদিন অপেক্ষা করে দেখলাম, অন্য সবার ওয়াইল্ডকার্ড এসে গেছে। আমাদেরটা আসেনি। আর নাকি আসবেও না।’