চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- নারায়ণপুর আদর্শ কলেজ ও নারায়ণপুর দারুল হোদা আলিম মাদ্রাসা।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁকা তেররশিয়া গ্রামের ৯০টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কাঁচা-পাকা ভবন নদীতে বিলীন হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩টি জামে মসজিদও রক্ষা করা যায়নি। গত চৈত্র মাস থেকে একটু একটু করে নদী ভাঙছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে সারাবছরজুড়েই কমবেশি নদী ভাঙছে। এবার এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে নারায়ণপুর আদর্শ কলেজ ও নারায়ণপুর দারুল হোদা আলিম মাদ্রাসা। এর মধ্যে কলেজটির ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আজকালের মধ্যেই ইটকাঠ সরিয়ে নেয়া হবে।
চেয়ারম্যানদ্বয় জানান, এই দুই উপজেলার পাশাপাশি ইউনিয়ন দুটির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গত বছর থেকেই নদী ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ শত শত হেক্টর ফসলি জমি নীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা থেকে এসে এলাকাটি পরিদর্শন করে যান। অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ময়েজ উদ্দিন বলেনÑ পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রায় তিন মাস আগে ৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি পাস হয়নি।