Last Updated on ডিসেম্বর ২০, ২০২৪ by
পরিবারে হাসি ফুটাতে ইঞ্জিনিয়ার নাঈম পেশা হিসেবে বেছে নিলেন সবজি চাষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা গ্রাম। সেই গ্রামের মো. আলমাস আলীর ছেলে মো. নাঈম ইসলাম ২০১৭ সালে সিভিল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। কিন্তু বেকারত্বের অভিশাপে পরিবার ও সমাজের কাছে বোঝা হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছিলেন। এক সময় হতাশায় ভুগতে থাকনে। বাবা মার টানাপোড়েনের সংসারে বেকারত্বের যন্ত্রণায় কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করেন তিনি। কিন্তু কোনো কুলকিনারা করতে পারেননি। ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। বাড়ি থেকে বের হলেই শুনতে হতো নানা যন্ত্রণাদায়ক কথাবার্তা। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন নাঈম ইসলাম। এহেন অবস্থায় ভোলাহাট উপজেলায় কম বেতনে একটা প্রকল্পে চাকরি জুটে কপালে। কিন্তু কপালে দুঃখ থেকেই যায়। ৫/৬ মাস পর পর বেতন পান। এভাবে কতদিন চলবে? এমন প্রশ্ন নিজের কাছে বার বার আসতে থাকে নাঈমের।
এক সময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন সবজি চাষ করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবেন। চলতি মৌসুমে শুরু করেন পৌনে ৩ বিঘা জমিতে টমেটো ও ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ। পরিবারের কাছ থেকে এবং ঋণের টাকা সংগ্রহের পর ঝুঁকি নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মো. নাঈম ইসলাম বলেন, ‘বেকারত্বের যন্ত্রণায় যখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম সবজি চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। পৌনে ৩ বিঘা জমিতে টমেটো আর ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছি। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৫ লাখ টাকা আসবে। আমার বিশ^াস টমেটো এবং মিষ্টি কুমড়ায় লাভবান হবো। পরবর্তীতে মৌসুম ভিত্তিক সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।
নাঈম ইসলাম বলেন, ‘সবজি চাষ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন জন ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিন শ্রমিক হিসেবে জমিতে কাজ করছেন। তাদেরকে পারিশ্রমিক দিতে পারি। শ্রমিক ফিরোজ বলেন, আমরা তিন জন মানুষ নাঈম ভাইয়ের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই।’