২৫ জুন শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ডানা মেলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হবে। এ উপলক্ষে নানান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতু বিষয়ক রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বাদকদলের বাদ্যের তালে তালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি সার্কিট হাউজ মোড় দিয়ে মহাসড়ক ধরে শান্তি মোড়-বাতেন খাঁর মোড় ঘুরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে পুরাতন স্টেডিয়ামে শেষ হবে। এরপর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে। এজন্য সেখানে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাও।
শোভাযাত্রায় সকল সেক্টরের প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করবেন বলে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানিয়েছেন। তিনি জানান, অনুষ্ঠান হবে অত্যন্ত কালারফুল। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন স্টেডিয়ামেও হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ‘পদ্মা সেতু : বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক’ শীর্ষক সেমিনার, ২৬ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ (মেগা প্রকল্প ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ উদ্যোগ) বিষয়ক সেমিনার, ২৭ জুন একই সময়ে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার রাত ৮টায় পুরাতন স্টেডিয়ামে হবে আতশবাজি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেনÑ কোটি মানুষের সুতীব্র এবং সুদীর্ঘ আকাক্সক্ষার পদ্মা সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং দৃঢ় সংকল্পে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত যা বাংলাদেশের সক্ষমতার মূর্ত প্রতীক। গোটা পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। এই পদ্মা সেতুর সুফল যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের জনগণ ভোগ করতে থাকবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে। এতে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে, শিল্পায়ন হবে ও কর্মসংস্থান বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চল রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। তিনি জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।