নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা সংস্কার কাজ আটকে থাকায় জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণকে। নিয়ামতপুর উপজেলার গাবতলী থেকে ছাতড়া সড়কের ৯ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন ধরে মাঝপথে আটকে আছে। রাস্তার কোনো জায়গায় ইটের খোয়া দিয়ে রোলার চালানো হয়েছে, কোনোখানে দুই ধারে মাটি কেটে রাস্তার ওপর বালু রাখা হয়েছে। এভাবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।
ছাতড়ায় ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাটির একদিকে খানাখন্দ অন্যদিকে ঠিকাদার রাস্তাটি খুঁড়ে রাখায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা থাকার পরে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ৬ ফিট রাস্তা বাড়ানোর কারণে এই অঞ্চলের লোকজনের ভেতর আশার আলো জাগে। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় মাঝে মাঝে খোয়া উঠে যাওয়ায় এটি চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয় পড়েছে।
জানা গেছে, সরকার দেশব্যাপী অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গাবতলী থেকে ছাতড়া রাস্তাটির প্রায় ৯ কিলোমিটার সংস্কারের কাজ হাতে নেয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়িতে যেতে খুব কষ্ট হয়। ধুলাবালিতে জামাকাপড় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে পড়তে হচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে গাছপালা বাড়িঘর ইটের ধুলায় লাল হয়ে গেছে। দুই-একজন গাড়িতে নিয়ে যেতে চায় না। এ জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকৌশলী জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে জানেন।
রাস্তার ঠিকাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফান্ডে টাকা নাই। এজন্য কাজ করতে পারছি না।
নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।