Last Updated on জুন ১৯, ২০২৫ by
নাচোলে সফল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দিল প্রয়াস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সফল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দিয়েছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। প্রয়াসের কৃষি ইউনিটের আওতায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সফল উদ্যোক্তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নাচোল ব্যাডমিন্টন অডিটোরিয়ামে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন— রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী।
প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন— জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, নাচোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. কাওসার আলী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস, প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকরী পরিচালক ফারুক আহমেদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাজিন বিন রেজাউল, কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন— সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমদাদুল হক, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সিফাতুল্লাহ ও মনিরুজ্জামান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-কাফীসহ নাচোল উপজেলার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় সফল উদ্যোক্তাগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, সম্মাননা হচ্ছে ভালো কাজের মূল্যায়ন। এটা পেলে কাজে আগ্রহ আরো বেড়ে যায় এবং এটা দেখে অন্যরা উৎসাহিত হন। তারাও চেষ্টা করেন এবং মনে করেন ভালো কাজ করলে তারাও স্বীকৃতি পাবেন। এতে করে কৃষকদের উৎপাদন আরো বেড়ে যায় এবং নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে বাইরে রপ্তানি করা যায়। আর এ কারণেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, একসময় কোরবানির পশুর জন্য অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন প্রাণিসম্পদে আমাদের দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবছর কোরবানির পরও প্রায় ৩০ লাখ কোরবানি উপযোগী পশু থেকে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি এই ধরনের আয়োজনের জন্য প্রয়াসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সঙ্গে আগামীতে বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজন করার জন্য প্রয়াসের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার চাকরিজীবন শেষ পর্যায়ে। আমি বহু এনজিওর সাথে কাজ করেছি। কিন্তু প্রয়াস এত সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করছে, এটার তুলনা হয় না। এখানে প্রাণী, মৎস্য ও কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে, কৃষিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। যেটা অন্য এনজিওতে আমার চোখে পড়েনি। তারা আমাদের দিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াচ্ছেন এবং কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করছেন। আসুন, আমরা তাদের পাশে থাকি এবং একসাথে এগিয়ে যাই।
সভাপতির বক্তব্যে মো. হাসিব হোসেন বলেন, এই সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আসুন, আমরা সকলে একসাথে কাজ করি। আগামীদিন হয়ে উঠুক মানুষের, আমাদের সকলের, সর্বোপরি বাংলাদেশের।
অনুষ্ঠানে মোট ৬ জন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রাণিসম্পদ খাতে উত্তম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে গাভী পালনে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. আনোয়ার হোসেন, রাজহাঁসের প্রাকৃতিক হ্যাচারি ব্যবহার করে বাচ্চা উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মোসা. হিরা বেগম, মৎস্য খাতে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে দেশী শিং-মাগুর-কার্প মিশ্র চাষে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. নাহিদ ইসলাম ও ও আধা নিবিড় পদ্ধতিতে কার্প ফ্যাটেনিং মাছ চাষে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. আরিফুল ইসলামকে সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়াও সম্মাননা দেয়া হয় কৃষি খাতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা হিসিবে মো. আব্দুল হাই ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. সেরাজুল হককেও।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহায়তায় সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।