Last Updated on এপ্রিল ২, ২০২৪ by
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে: স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় জেলা প্রশাসক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খাঁন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতানতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিনই তিনি বাঙালি জাতিকে জানিয়েছিলেন আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। এরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরের ইতিহাস আপনাদের সবারই জানা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে মানুষ যে ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন আমরা তার সুফল ভোগ করছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি উন্নয়ন ভাবনার সুফল ভোগ করছি। মঙ্গলবার দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আরো বলেন,
বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করে ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতার ইতিহাস রেখে গিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাসহ প্রতিটি সেক্টরে তিনি ধরে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, ন্যায় ও জ্ঞান ভিত্তিক উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে। তোমাদের প্রতি আমার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের সৈনিক হয়ে উন্নয়নের সহযোগী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জ্ঞান ভিত্তিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য প্রস্তুত হও।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান,
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামদ।
পরে বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।