Last Updated on অক্টোবর ৬, ২০২৪ by
দ্রুতগতিতে সবুজ হয়ে উঠছে অ্যান্টার্কটিকা!
তুষারে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকাকে অনেকেই শীতল মরুভূমি আখ্যায়িত করেন। সেখানে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল। তবে কয়েক বছর আগে অ্যান্টার্কটিকায় নতুন এক প্রজাতির মসের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই মস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওই অঞ্চলে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকায় উদ্বেগজনক হারে উদ্ভিদ জন্মে সবুজ হয়ে উঠছে। অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বরফ গলে শুকনা মাটিতে মস জন্মাচ্ছে। এসব ঘটনার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকা উপত্যকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবি এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গেছে, অ্যান্টার্কটিকা দ্রুতগতিতে সবুজ হয়ে উঠছে এবং দক্ষিণ আমেরিকা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় অনেক উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের এক্সেটার এবং হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের করা গবেষণা শুক্রবার ন্যাচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকায় পাওয়া উদ্ভিদের বেশির ভাগই মস। গত চার দশকে ১০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানকার সবুজের পরিমাণ। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের ০.৪ বর্গমাইলেরও কম জায়গাজুড়ে উদ্ভিদ ছিল। ২০২১ সালে সেখানে পাঁচ স্কয়ার মাইল এলাকায় এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গত চার দশকে অ্যান্টার্কটিকা সবুজ হয়েছে দ্রুতগতিতে। তবে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ সবুজ হয়েছে। এখন আরো দ্রুতগতিতে সবুজ হয়ে উঠছে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও পরিবেশবিজ্ঞানী থমাস রোল্যান্ড বলেন, ভূমি থেকে দেখলে এখনো এটিকে বরফে ঢাকা মনে হবে। তবে ১৯৮০ সাল থেকেই সবুজ হওয়া শুরু করেছে এটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে অ্যান্টার্কটিকায়। সেখানকার পরিবর্তন মহাকাশ থেকে ধারণ করা ছবিতে পরিলক্ষিত হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান অ্যান্টার্কটিকা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থানটি উষ্ণ হয়ে উঠছে।
সূত্র : সিএনএন