বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ রজব, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on আগস্ট ১১, ২০২৪ by

দেহদানের সিদ্ধান্ত নিলেন ঋতুপর্ণা

পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্তকে অনুকরণ করলেন টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৮ আগস্ট মারা যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জীবদ্দশায় নিজের দেহদান করে দেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ দাহের পরিবর্তে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানকার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ সময় তিনি বুদ্ধদেবের মতো নিজেও দেহদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার ফুপু, ফুপা একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল। সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর শেষ যাত্রায় ছুটে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সে বর্ণনা দিয়ে নায়িকা বলেন, আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী গাড়ি কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জন¯্রােতে ভাসতে ভাসতে ওনার গাড়ির কাছে পৌঁছালাম। বুদ্ধদেব সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, “ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। আর প্রচ- রসিক। কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। ওনার আমলে বেশ কয়েক বার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।” ঋতুপর্ণার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল প্রয়াত এ রাজনীতিবিদের। পেয়েছেন তার স্নেহ। অভিনেত্রীর ‘পারমিতার একদিন’, ‘আলো’ ছবি দুটি প্রয়াত রাজনীতিবিদের প্রিয় ছিল। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পরও ঋতুপর্ণাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

About The Author

শেয়ার করুন