আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। সুষ্ঠু ভোট হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই এ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। সে সময় একটা নিরপেক্ষ ভোট হবে। নির্বাচনে সব দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করবেন।’
সোমবার দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট দেবেন না। কিন্তু তারপরও তারা (বিএনপি) তিন দিন আগে থেকেই হাঁড়ি-পাতিল ও মশার কয়েল নিয়ে আগে থেকেই অবস্থান নেবে।’
বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো উস্কানি দেবেন না। বিশৃঙ্খলা করলে খবর আছে, এ দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে দেয়নি।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বাড়ি তো ঠাকুরগাঁওয়ে। সমাবেশ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সমাবেশে দেখে যান। আপনারা কথায় কথায় বলেন, আপনাদের সমাবেশে ঢল নেমেছে, তরঙ্গ নেমেছে। কিন্তু ঢল কাকে বলে, নদী আর সাগরের তরঙ্গ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুরে এসে আপনি দেখে যান। আপনারা সমাবেশের ৩ দিন আগে থেকে হাঁড়ি-পাতিল, বিছানা-বালিশ নিয়ে নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের অংশ থাকে মশার কয়েল।’ তিনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে খেলা হবে। এবার খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে।’
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেনÑ প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, শিবলী সাদিক এমপি ও অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপি।