দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নারী প্রকৌশলী সম্মেলন

21

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারী প্রকৌশলী সম্মেলন-২০২০। করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ এর কারণে অনলাইনের মাধ্যমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টায় অনলাইনে দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সম্মেলন শুরু হয়ে রাত ১১টায় শেষ হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।
১৯১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি ২৩ জুনকে নারী প্রকৌশলী দিবস হিসেবে পালন করত। ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী প্রকৌশলী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী রওশন মমতাজ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নীরা মজুমদার, এলজিইডি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর প্রকৌশলী সালমা শহীদ, রাজউকের পরিচালক ও আইইবির সেন্ট্রাল কাউন্সিল মেম্বার প্রকৌশলী তানজিলা খানম।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নারী প্রকৌশলীদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- প্রকৌশলী মৌসুমী সালমীন, প্রকৌশলী সোনিয়া নওরীন এবং অধ্যাপক প্রকৌশলী সালমা আখতার। অনুষ্ঠানের মডারেটর ছিলেন দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক এবং আইইবির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের সেক্রেটারি প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, চাকরিজীবনে নারী প্রকৌশলীরা কর্তব্যনিষ্ঠ ও সৎ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন পদে নারীদের পদায়ন করেছেন। প্রথম মহিলা বিচারপতি, প্রথম মহিলা সচিব, প্রথম মহিলা স্পিকার এবং এসবের ধারাবাহিকতায় প্রথম প্রধান প্রকৌশলীও বঙ্গবন্ধু কন্যার শাসন আমলের অবদান। শেখ হাসিনা মনে করেন, ‘নারীদের উন্নয়নের বাইরে রেখে কখনো প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়’।