দেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ হাজার ৮০৩ জনসহ দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরো ৩৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৯টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৫ জন। মোট সুস্থ হলেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা বলেন, নতুন করে মৃত্যু হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী রয়েছেন। বয়স বিবেচনায় ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুরের ১ জন করে রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন, ছাড় পেয়েছেন ৪০০ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছেন ১৭ হাজার ৮৭১ জন এবং ছাড় পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৬ জন। ২ হাজার ৮২১ জন নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬২ হাজার ৭০৬ জন।
বৃহস্পতিবার বুলেটিনের শুরুতেই কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দীর্ঘদিন। সুস্থ হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়েছেন। দেশের করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সেই অনুযায়ী সরকারের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান তিনি।