মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবসের শেষ দিনে শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- ১৪ ডিসেম্বর বৃদ্ধিজীবী হত্যা, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা। কারণ, স্বাধীনতাবিরোধীরা সেদিন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এ দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি, তাই তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা ও মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল; কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন বাংলার মানুষের দাবি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন তখন তাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। ঘাতকরা চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে দিতে। কিন্তু সে আশা পূর্ণ হয়নি। সে দিন তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন কিন্তু আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী সেদিন নিহত হয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন- দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে মিল-কারখানা, ব্যাংক-বিমাগুলো জাতীয়করণ করা শুরু করেন তখন স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা বলেন- বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ এগিয়ে চলেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র আজও চলছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাকিনা খাতুন পারুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল আলম শরিফ, জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির ইউসুফ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর টিটু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম শাহনেওয়াজ অপু, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হুদা অলক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান তোতা ও ফাইজার রহমান কনক, সদর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ দুলাল, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব আব্দুর রাকিব, পৌর কৃষক লীগের সভাপতি মেসবাহুল হক টুটুলসহ কৃষক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।