ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলযোগে সপরিবারে নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামে আসার পথে তেলবাহী ট্যাংকলরির ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যুর পর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক বাবা মোহাম্মদ হোসেন আহত হয়েছেন। বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেনÑ দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার তেঘরা দারুল হাদীস সালাফিয়াহ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী মোসা. ফাইমা বেগম (৩০), মেয়ে মোসা. বিউটি (১৩) ও ১৮ মাস বয়সী শিশুসন্তান নাসিরুল্লাহ।
মোহাম্মদ হোসাইনের পিতা আনারুল ইসলামের কথা বলে এবং বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তেঘরা দারুল হাদিস সালাফিয়া মাদ্রাসায় ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার ভোরে একই মোটরসাইকেলে সপরিবারে ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফিরছিলেন। পথে ভোর পৌনে ৫টায় দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে বিপরীতগামী একটি তেলবাহী লরি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী বিউটি আক্তার ও মেয়ে ফাহিমা আক্তার। আহত হয় মোহাম্মদ হোসাইন ও তার শিশুসন্তান নাসিরুল্লাহ। আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু নাসিরুল্লাহর মারা যায়। খবর পেয়ে সেখানকার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং বাবা-ছেলেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।