আকাশচুম্বী দামের কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় পেঁয়াজ এখন ‘মুদ্রা’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে! পেঁয়াজের বিনিময়েই কেনাকাটা করছেন সেখানকার নাগরিকরা। কয়েকজন ডজন খানেক পেঁয়াজ পকেটে নিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা সেগুলো দিয়েই বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি সামগ্রী কেনেন। প্যান, এয়ার ফ্রেশনার এবং অন্যান্য পণ্যের একটি দোকানে অর্থের বদলে পেঁয়াজ নেওয়া হচ্ছিল।
উত্তর-পূর্ব ম্যানিলার কুইজন সিটিতে জাপান হোম সেন্টার (জেএইচসি) এর শাখা ঘোষণা দেয় যে, ৮৮ ফিলিপিনো পেসো (প্রায় ১৮০ টাকা) বা এর কম যেকোনও পণ্য একটি পেঁয়াজ দিয়ে কেনা যাবে। এ ছাড়া সিরামিক ফুলদানি এবং মোমদানিও পাওয়া যাবে দুটি পেঁয়াজে! খবরে বলা হয়েছে, এই ‘নতুন মুদ্রা’ দিয়ে সর্বাধিক তিনটি আইটেম কেনা যাবে। তাই ক্রেতাদের তিনটি পেঁয়াজ আনতে দেখা গেছে। যারা পেঁয়াজ দিয়ে কেনাকাটা করতে চান তাদের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়। দোকানে এক নারী পেঁয়াজ দিয়ে একটি প্যান এবং একটি স্টেইনলেস শাওয়ার ক্যাডি কেনেন। এক কিশোরী একটি ঝাঁঝর এবং একটি এয়ার ফ্রেশনার কেনে।
এ ছাড়া একটি ছেলেও তিনটি পেঁয়াজ দিয়ে প্রিয় চিপস, চকলেট কুকিজ এবং ওয়েফার রোল কেনে। দোকানি ক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া পেঁয়াজ ক্যাশবক্সের বদলে ঝুড়িতে রাখেন। ফিলিপাইন বছরের শুরু থেকেই পেঁয়াজের দামের জন্য শিরোনাম হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশটিতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম প্রায় ১২০০ টাকা। এটা মাংস বা মুরগির চেয়েও দামি। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশটিতে এ নিয়ে অনেক মজার কা- ঘটছে। কেউ বিয়েতে পেঁয়াজ উপহার দিচ্ছেন। আবার কেউ মূল্যবান গয়নার মতো পেঁয়াজের তৈরি মালা গলায় পরছেন। ম্যানিলার একটি স্টোরে প্রমোশনাল কাজের অংশ হিসেবে একদিনের জন্য পেঁয়াজ দিয়ে পণ্য কেনার ওই অফার দেওয়া হয়েছিল। সূত্র: খালিজ টাইমস