Last Updated on এপ্রিল ১৫, ২০২৪ by
দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলেন আর্সেনাল কোচ
কয়েক মিনিটের ঝড়ে গোটা মৌসুম তছনছ হওয়ার শঙ্কা। অ্যাস্টন ভিলার কাছে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে ম্যাচ হারার পর চোখরাঙানি দিচ্ছে গত মৌসুমের ভূত। এবারও কি তবে শেষে এসে হতাশায় পুড়বে আর্সেনাল? উচ্চকিত হতে থাকা প্রশ্নটির জবাব দলকেই খুঁজতে বললেন মিকেল আর্তেতা। আর্সেনাল কোচের স্পষ্ট কথা, শেষের এই চ্যালেঞ্জে টিকতে না পারলে শিরোপাও প্রাপ্য নয়। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আর্সেনালের জন্য সুযোগ ছিল অবস্থান একটু পোক্ত করার। ঘরের মাঠে রোববার প্রথমার্ধে দাপটও ছিল তাদের। কিন্তু বারবার সুযোগ হারিয়ে গোলের দেখা মেলেনি। উল্টো শেষ দিকে নেমে আসে বড় বিপদ। ৮৪ ও ৮৭তম মিনিটে দুটি গোল হজম করে ম্যাচই হেরে বসে তারা। একই দিনে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে লিভারপুলের পরাজয়ের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ত্রিমুখী লড়াইয়ের ছবিটা গেছে উল্টে। এই রাউন্ডের আগে তিন নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি এখন শীর্ষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল, সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে তিনে লিভারপুল।
মৌসুমে ম্যাচ বাকি আছে আর ছয়টি। গত মৌসুমেও শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ দিকে চাপের সময়টায় ভেঙে পড়েছিল আর্সেনাল। ম্যানচেস্টার সিটিই শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছিল শিরোপা। এবারও সেরকম কিছুর প্রেক্ষাপট এখন তৈরি হয়ে গেছে। বাকি ছয় ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন সিটি, অন্য কোনো কিছু ভাবতেই হবে না। আর্সেনাল ও লিভারপুলকে শুধু টানা জিতলেই চলবে না, অপেক্ষায় থাকতে হবে সিটির পয়েন্ট হারানোরও। ম্যাচ শেষে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে আর্সেনাল কোচ আর্তেতা বললেন, প্রথমার্ধেই ম্যাচ শেষ করে ফেলা উচিত ছিল তাদের। “খুব ভালো একটি দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে অসাধারণ খেলেছি আমরা, গোটা মৌসুমের সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি ছিল তা। তিন-চার গোল করা উচিত ছিল, কিংবা আরও বেশি। কিন্তু আমরা পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে মোমেন্টাম বদলে যায়। আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি এবং প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি দেখাতে পারিনি। খুব বাজে দুটি গোল হজম করে ম্যাচ হেরে গেছি আমরা।”
গত মৌসুমের পুনরাবৃত্তির আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে এখন। তবে সেটিকে পাত্তা দিতে চান না আর্তেতা। দলের মানসিকতার সত্যিকারের পরীক্ষাটা এখনই দেখছেন আর্সেনাল কোচ। তার মতে, চ্যাম্পিয়ন হতে হলে এই পরীক্ষায় উতরাতে হবে। “আমরা জানতাম, এরকম সময় আসতে পারে এবং এখন ব্যাপারটি হলো, ভালোভাবে সাড়া দেওয়ার। একটা ম্যাচের ফল যদি আমাদের নাড়িয়ে দেয়, তাহলে বুঝতে হবে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী নই। প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে আমাদের। সময় এখন মাথা তুলে দাঁড়ানোর এবং গোনায় ধরার মতো হয়ে ওঠার। চার মাস ধরে টানা জয়ের পর কাজটি খুব স্বাভাবিক হওয়ার কথা। এখনই তা করার সময়।” “এটা ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই আমাদের। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকতে হলে, এই মুহূর্তগুলোতেই নিজেদের মেলে ধরতে হবে। সেটা না পারলে বুঝতে হবে, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আমাদের নেই। এটাই এখন আমাদের বড় পরীক্ষা।”