Last Updated on নভেম্বর ১২, ২০২৪ by
থমথমে মণিপুর, কারফিউ জারি
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের জিরিবাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সেখানকার প্রশাসন। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার ওই জেলায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর একটি শিবিরের ওপরে হামলা চালায় সন্দেহভাজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর পুলিশের পাল্টা গুলিতে অন্তত ১০ জন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হন বলে মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে। মণিপুর পুলিশ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দাবি করেছে, গত সোমবার দুপুরে ‘সশস্ত্র উগ্রপন্থী’রা জিরিবাম জেলার জাকুরাডোর এলাকার একটি সিআরপিএফ চৌকিতে হামলা করেছে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পাল্টা হামলা চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় ১০ জন “সশস্ত্র উগ্রপন্থী”র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক্সে মণিপুর পুলিশ আরও লিখেছে, নিহতদের কাছ থেকে তিনটি ‘একে’, ৪টি এসএলআর, দুটি ইনসাস বন্দুক পাওয়া গেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি রকেট প্রপেল্ড গান, একটি পাম্প অ্যাকশন গান, বুলেট প্রতিরোধী হেলমেট ও গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন। গোলাগুলিতে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তবে কুকি-জো উপজাতি সংগঠনগুলি অবশ্য দাবি করছে যে নিহতরা কেউ সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না, তারা গ্রামরক্ষা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুকি জনজাতীয় সংগঠনগুলি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলিতে হরতাল ডেকেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জিরিবাম এলাকাটি আসামের বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকা সংলগ্ন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই অশান্তি চলছে। প্রথমে সন্দেহভাজন মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা এক ‘মার’ উপজাতীয় নারী স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা করে, তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরের দিন মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকা অঞ্চলে চাষের জমিতে কাজ করার সময়ে সন্দেহভাজন ‘কুকি উপজাতীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী’র সদস্যদের ছোড়া গুলিতে আহত হন এক কৃষক। প্রায় দেড় বছর ধরে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি-জো উপজাতির মানুষদের মধ্যে এর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।