Last Updated on এপ্রিল ৫, ২০২৪ by
তানজিদ-জিসান ঝড়ে ৯ ওভারেই খেলা শেষ
ওভারের প্রথম বলে একটি ছক্কা, শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা। ব্যস, ম্যাচের সমাপ্তি! রান তাড়ায় সেটি মাত্র নবম ওভার। ১০০ ওভারের ম্যাচে ৫০ ওভার তখনও হয়নি। কিন্তু শাইনপুকুরের জয়ের কাজ ততক্ষণে শেষ! হাসান মুরাদ ও অন্য স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডারদের দারুণ কয়েকটি ক্যাচ গড়ে দেয় জয়ের ভিত। ছোট্ট লক্ষ্যটুকু পরে তুড়ি বাজিয়েই উড়িয়ে দেন তানজিদ হাসান ও জিসান আলম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে শুক্রবার ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে এই ম্যাচ দিয়েই লিগের খেলা ফেরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। রূপগঞ্জ গুটিয়ে যায় ৩৯.৪ ওভারে ১১০ রান তুলে। শাইনপুকুরের চার স্পিনার মিলে উইকেট শিকার করেন ৯টি। ২১ রানে চার উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার হাসান মুরাদ। এক ম্যাচ আগে পারটেক্সের বিপক্ষে ঠিক ২১ রানেই চার উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ এই বাঁহাতি স্পিনার। আলাদা করে বলতে হবে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির কথাও।
৯ ওভারে স্রেফ ১০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। দুই উইকেট নেন আরেক স্পিনার এসএম মেহেরব হাসানও। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনর প্রাপ্তি এক উইকেট। সেই রান তাড়ায় ঝড়ের বেগে ছুটে ৯ ওভারেই জিতে যায় শাইনপুকুর। ছয় ছক্কায় ২৮ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জিসান, তিন ছক্কায় ২৮ বলে অপরাজিত ৪৮ করেন তানজিদ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জ তৃতীয় ওভারে হারায় আইচ মোল্লাকে। রবিউল হকের লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল, যেটি ছেড়ে দিলে নিশ্চিত ওয়াইড, সেটিতেই ফ্লিক করার চেষ্টায় বলে আলতো করে ব্যাট ছুঁইয়ে দেন এই ওপেনার। উইকেটের পেছনে বাঁদিকে অনেকটা ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শাইনপুকুর অধিনায়ক আকবর আলি। পেস বোলিংয়ে উইকেট ওই একটিই। স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রূপগঞ্জ।
২০ রান করা ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ফিরিয়ে স্পিনারদের দাপট শুরু করেন অফ স্পিনার মেহেরব। পয়েন্টে সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন রবিউল। আল মামুনের সেই ২০ রানই পরে হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ রান। আরাফাত সানি দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই দেখা পান উইকেটের। মিডল অর্ডারে দুই অভিজ্ঞ শামসুর রহমান ও ফরহাদ হোসেনও পারেননি দলকে উদ্ধার করতে। ২৫ রানের মধ্যে শেষ ছয় উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। এর চারটিই শিকার করেন মুরাদ। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এই স্পিনার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৮ ম্যাচের চার উইকেট শিকার করলেন পাঁচ দফায়। রান তাড়ায় প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে শুরু করেন তানজিদ। পরের ওভারে দুটি ছক্কা মারেন জিসান। দুজনের রানের রথ ছুটতে থাকে। প্রতি ওভারেই আসতে থাকে চার-ছক্কা। জিসান ফিফটিতে পা রাখেন ২৪ বলে। নবম ওভারে তানজিদের দুই ছক্কা এক চারে শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৩৯.৪ ওভারে ১১০ (আল মামুন ২০, আইচ ৭, রোহান ৫, গালিব ১৭, শামসুর ১১, ফরহাদ ১৯, হাসিম ১, সালমান ১৪, সোহাগ ০, অনিক ২, বর্ষণ ৪*; রবিউল ৫-০-১৪-১, মুকিদুল ৪-০-২৭-০, মেহেরব ৪-০-৮-২, আরাফাত সানি ৯-২-১০-২, মুরাদ ৯.৪-০-২১-৪, রিশাদ ৮-০-২৬-১)।
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৯ ওভারে ১১১/০ (তানজিদ ৪৮*, জিশান ৫৮*; বর্ষণ ২-০-২২-০, হাসিম ২-০-২৪-০, সোহাগ ২-০-২২-০, গালিব ২-০-২৪-০, অনিক ১-০-১৫-০)।
ফল: শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: হাসান মুরাদ।