সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রজব, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on ডিসেম্বর ৯, ২০২৪ by

ঢাকা-আগরতলা ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের

ভারতীয় হাই কমিশনে স্মারকলিপি পেশের পর ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আগামী বুধবার ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত আমরা লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’ তিনি বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে জমায়েত হয়ে এখান থেকে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শুরু করব এবং আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাবো।’
তিন সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুন্না বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের এই লংমার্চে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী লংমার্চের কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা চান তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে যুবদলের এই প্রধান।
রবিবার এই তিন সংগঠন বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি করে। রামপুরা ব্রিজের কাছে হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদযাত্রা পুলিশ আটকে দিলে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুন্নার নেতৃত্বে বারিধারায় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এই কর্মসূচিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী লংমার্চের কর্মসূচিতে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান যুবদল সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা তিন সংগঠন রবিবার ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে আমরা ভারতীয় হাই কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পরে ভারত কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সরকারকে বিব্রত করার সুযোগ দিয়েছে। বহিষ্কৃত ইসকন নেতা বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারের নিন্দা জানান মুন্না।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাহ হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।

About The Author

শেয়ার করুন