প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ জুন। চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। আইসিআর প্রশ্নপত্র বা মোবাইল অ্যাপ-ড্রপ অ্যান্ড পিক-টেলিফোনিক সাক্ষাতকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১। দেশব্যাপী একযোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ উপলক্ষে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক ও এ-সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি এ কে এম গালিভ খান। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও।
সভা শেষে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও কমিটির সদস্য সচিব উম্মে কুলসুম জানান, জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে তিনিসহ থাকছেন ২ জন, প্রশিক্ষক ৪৩ জন, গণনাকারী ৪ হাজার ৭৩ জন এবং সুপারভাইজার ৬৯৫ জন। এছাড়া থাকছে ৫ সদস্যের একটি আইসিটি টিম। ৪৩ জন প্রশিক্ষকের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, শিবগঞ্জে ১৪ জন, গোমস্তাপুরে ৭ জন, নাচোলে ৫ জন এবং ভোলাহাটে ৩ জন রয়েছেন। আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে তারা গণনকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি আরো জানান, এবার গণনাকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাগজ-কলমের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তারা জনগণের যেসব তথ্য সংগ্রহ করবেন তা সঙ্গে সঙ্গে ট্যাবে কম্পোজ করে নিবেন।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের ১ম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে মোট জনসংখ্যা ছিল ৭.১৫ কোটি । এর পর ১৯৮১ সালে ২য় আদমশুমারি হয়। ওই শুমারিতে মোট জনসংখ্যা নিরূপন করা ৮.৯৯ কোটি। এর পরে ১৯৯১ সালে ৩য় আদমশুমারিতে মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১১.১৫ কোটি। ২০০১ সালে ৪র্থ আদমশুমারিতে মোট জনসংখ্যা হয় ১৩.০৫ কোটি। ২০১১ সালে ৫ম আদমশুমারিতে জন্য বৃদ্ধি হয়ে জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৪.৯৮ কোটি। এবার ৬ষ্ঠ শুমারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এর ধারা ৬ (গ) মোতাবেক আদমশুমারি ও গৃহগণনাকে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।