বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ রজব, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on আগস্ট ১১, ২০২৪ by

ট্রেন চালু করতে প্রস্তুত রেলওয়ে, অপেক্ষা নির্দেশের

 

ট্রেন চালু করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা পেলেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
তিনি বলেছেন, অনুমতি পেলে যে কোনো সময় লোকাল ট্রেন চালু করা যাবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিন সময় দরকার হবে।
রবিবার রেলভবনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ট্রেন চলাচল না করার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামে আমাদের অনেক কন্টেইনার লোড হয়ে আছে। এগুলো রপ্তানি সম্পর্কিত শিল্প কারখানার জন্য এবং চট্টগ্রামে তেল লোড হয়ে আছে যেগুলো সিলেট, শ্রীমঙ্গল, রংপুর যাবে। খুলনাতেও তেলের গাড়ি লোড হয়ে আছে। লোড হয়ে আছে চালের গাড়ি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে সকল তেলের গাড়িগুলো যায় সেগুলোও লোড হয়ে আছে। তিনি বলেন, আমি সচিব মহোদয়কে (রেল সচিব) বলেছি আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি অথরিটির কাছে বলা। তারপর যেভাবে নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবে কাজ করব।
আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলে প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে মহাপরিচালক আরো বলেন, ট্রেন চালু করার জন্য দেখতে হবে রেললাইনটা ঠিক আছে কিনা। আন্দোলনের সময় যেসকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামত করা। এ কাজগুলো আমাদের মতো করে গুছিয়ে রেখেছি। যাতে নির্দেশনা পেলে ট্রেন দ্রুত চালু করতে পারি। সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তঃনগর ট্রেন হয়তো দুইটা দিন পরে চালু হতে পারে। অন্য ট্রেনগুলো আমরা দুই দিনের নোটিশেই চালু করতে পারব। কারণ যখন কারফিউ ছিল তখন একটা বিষয় ছিল। এখন তো কারফিউ নেই। তাই কোনো অসুবিধা নেই। শুধু আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে দুই দিন সময় লাগতে পারে। কারণ অনলাইন টিকেটিংয়ের বিষয় আর ছোটখাটো কিছু প্রস্তুতির বিষয় আছে।
সরদার সাহাদাত আলী বলেন, যেগুলো ড্যামেজ হয়েছে, যেগুলোর বিকল্প আমাদের কাছে নেই, সেগুলো ট্রেন চালাব না। পারাবত এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো আখাউড়াতে থাকাকালীন কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়ছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২৮টি কোচের সব কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

About The Author

শেয়ার করুন