শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪ by

ট্রাভিস ঝড়ে উড়ে গেলো ইংলিশরা

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ২৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী ফিফটির সাথে ম্যাথু শর্ট, জশ ইংলিশদের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে লিয়াম লিভিংস্টোনের ৩৭ রান বাদে বলার মতো স্কোর গড়তে পারেননি ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটার৷ শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে অলআউট হয়েছে ফিল সল্টের দল। ২৩ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড। সাউদাম্পটনে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন অজিদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ম্যাথু শর্ট। হেড যেন ফিরে গিয়েছিলেন আইপিএলের ফর্মে। শুরুটা ম্যাথু শর্ট করেছিলেন, এরপর আর্চারকে তিন বাউন্ডারি হাঁকান হেড। স্যাম কারানের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৩০ রান তোলেন হেড। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৬ষ্ঠ ওভারে মাত্র ১৯ বলে ফিফটি করেন হেড। পাওয়ার প্লের শেষ বলে সাকিব মাহমুদের শিকার হওয়ার আগে ২৩ বলে আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। হেড়-শর্টের উদ্বোধনী জুটির ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে ৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। পরের ওভারে আক্রমণে আসা আদিল রশিদ দ্রুত ফিরিয়ে দেন তিনে নামা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইংলিশের সাথে শর্টের জুটি দীর্ঘায়িত হয়নি। ২৬ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রান করে লিভিংস্টোনের শিকার হন শর্ট। ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। লিয়াম লিভিংস্টোন ও আদিল রশিদ মিলে চেপে ধরেন অজিদের রানের লাগাম। দলীয় ১৩২ রানে ফিরে যান মার্কাস স্টয়নিস। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান টিম ডেভিড। ইংলিশ করেন ২৭ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কা। ইনিংসের ১৫ ওভারের পর থেকে কোন বাউন্ডারি মারতে পারেনি অজিরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের তিন বল আগেই ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তিন উইকেট শিকার করেন লিয়ান লিভিংস্টোন। দুইটি করে উইকেট শিকার করেন জফরা আর্চার ও সাকিব মাহমুদ। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই ১১ রান তোলে ইংল্যান্ড। তবে পরের ওভারেই ওপেনার উইল জ্যাকসকে ফেরান অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড। এই সিরিজে অধিনায়কত্ব পাওয়া ফিল সল্ট ও অভিষিক্ত জর্ডান কক্স পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের সামনে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তারা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বিদায় নেন দুইজনই। চারটি চারে ১২ বলে ২০ রান করেন সল্ট, ১২ বলে তিনটি চারে ১৭ রান কক্স। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেটে ৪৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। চারে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। অন্যপ্রান্তে জ্যাকব বেথেলকে অল্পতেই ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। স্যাম কারানকে নিয়ে অর্ধশতাধিক রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রানে কারানকে ফেরান অ্যাবট। এরপরই লিভিংস্টোনকে বোল্ড করেন জশ হ্যাজেলউড। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। একে একে ফিরে যান আর্চার, ওভারটন, আদিল রশিদরা। ৯ বলে ১৫ রান করেন ওভারটন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের চার বল আগে ১৫১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ২৮ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। তিন উইকেট শিকার করেন শন অ্যাবট। দুইটি করে উইকেট শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউড।

About The Author

শেয়ার করুন