Last Updated on মে ৩১, ২০২৪ by
টানা পাঁচ জয়ে শীর্ষে রূপালী ব্যাংক
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিকেএসপিকে বেশি দূর যেতে দিলেন না রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদের বোলাররা। রান তাড়ায় অপরাজিত ইনিংসে দলকে জেতালেন অভিজ্ঞ ফারজানা হক। মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দিনের অন্য ম্যাচে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেল খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি।
ফারজানার আরেকটি ফিফটি
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরির পর থেকে ঠিক আপন চেহারায় ছিলেন না ফারজানা হক। ছন্দে ফেরার অভিযানে লিগে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো করছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। পঞ্চম রাউন্ডে তিনি খেলেছেন এবারের আসরের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। ফারজানার অপরাজিত ৮১ রানের সৌজন্যে বিকেএসপিকে ৭ উইকেটে হারায় রূপালী ব্যাংক। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ১৭৮ রানের লক্ষ্য ৬১ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে রূপালী ব্যাংক। সমান ম্যাচে ২ জয়ে পাঁচ নম্বরে বিকেএসপি। এ ছাড়া চার ম্যাচে ৪টি করে জয় রয়েছে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। ৮ চারে ১১৯ বলের ইনিংস খেলা ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ফারজানা। এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংসে তার সংগ্রহ লিগের সর্বোচ্চ ২৭২ রান। মাত্র একবার আউট হওয়ায় গড় অবিশ্বাস্য, ২৭২! রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন ফারজানা ও ইশমা তানজিম। দ্বিতীয় উইকেটে তরুণ ফারজানা হক লিসার সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন অভিজ্ঞ ফারজানা। লিসার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৩১ রান। এরপর লতা ম-ল হতাশ করেন। নিগার সুলতানার সঙ্গে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন ফারজানা। ৪৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন নিগার। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিকেএসপির সাত ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। কিন্তু কেউই ত্রিশ রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণার ব্যাট থেকে। নয় নম্বরে নেমে নিশিতা আক্তার করেন ২৪ রান। রূপালী ব্যাংকের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাবেয়া খান, পূজা চক্রবর্তী ও ইশমা। পাঁচ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন তালিকার শীর্ষে লেগ স্পিনার রাবেয়া।
খেলাঘরের ১ উইকেটের জয়
জয়ের জন্য বাকি ১৫ রান, ক্রিজে শেষ দুই ব্যাটার। জমে ওঠা ম্যাচে শেষ দিকে দারুণ লড়াই করলেন নুজহাত সাবাহ ফিরদৌস ও খাদিজাতুল কুবরা। দুজন মিলে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে এনে দিলেন ১ উইকেটের জয়। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ১১৬ রানের জবাবে জয় পেতে ৪৫.৩ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় খেলাঘরকে। পাঁচ ম্যাচে খেলাঘরের দ্বিতীয় জয় এটি। একটি পরিত্যক্ত ম্যাচসহ ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তাদের অবস্থান চতুর্থ। সমান ম্যাচে ১ জয়ে সাত নম্বরে কলাবাগান। ব্যাট হাতে ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের আগে বোলিংয়ে ১০ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট নেন নুজহাত। তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ছোট রানের রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে দুই দল মিলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন খেলাঘরের অধিনায়ক তাজ নেহার। একই দলের মাসুমা খাতুন করেন ২৪ রান। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ম্যাচের সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি। কলাবাগানের পক্ষে ১০ ওভারে তিন মেইডেনসহ ১২ রানে ৩ উইকেট নেন মেহেরুন নেসা জয়া। এর আগে আট নম্বরে নেমে কলাবাগানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তমালিকা সুমনা। অষ্টম উইকেটে মুমতা হেনার সঙ্গে তিনি গড়েন ৪৩ রানের জুটি। খেলাঘরের পক্ষে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন খাদিজাতুল কুবরা।