করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বুধবার রাতে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ক এক অনলাইন সভায় এ নির্দেশ দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও কষ্ট নিবারণের দায়িত্ব আমাদের সবার।’ দেশে করোনাসহ যে কোনো ধরনের বিপর্যয়ে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থেকে করোনা ভাইরাসসহ সব ধরনের বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমিত এলাকা পুরো লকডাউন না করে সাব জোনে ভাগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো একটি ওয়ার্ডে যদি এক লাখ মানুষের বসবাস হয় এবং করোনা ভাইরাসে ২০০ লোক আক্রান্ত হয় তাহলে ওই ২০০ লোক যে এলাকায় বাস করে শুধু সেই এলাকাকে লকডাউন করলে কাজ করতে সহজ হবে। সাব জোনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মীসহ সমাজসেবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, জোন বা সাবজোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, লকডাউন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবাইল নম্বর এলাকার জনসাধারণকে দিতে হবে। পরিস্থিতি অনুসারে জনসাধারণ নিজ থেকে সচেতনতা অবলম্বন করবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোন ঘোষণা করার এখতিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। জোন বা সাবজোন ঘোষণা করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বলেন, জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করার পর তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।
এ সময় মেয়রদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থার সঙ্গে সভা বা যোগাযোগ ও যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করার জন্য মেয়রদের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।