জোকোভিচের স্বর্ণ জয়
বেইজিং (২০০৮) অলিম্পিক গেমস দিয়ে এই টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। ঐ আসরেই ব্রোঞ্জ পদক জিতে জানান দিয়েছিলেন তার সামর্থ্যরে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৬ বছর। তবে এর মধ্যে একবারও পায়নি স্বর্ণ পদকের দেখা। কয়েকটি আসরে তো দুর্দান্ত শুরু পাওয়ার পরও ছিটকে গেছেন সেমিফাইনালেই। তবে এবার করেছেন নিজের স্বপ্ন পূরণ। প্যারিস অলিম্পিকে জিতেছেন স্বর্ণপদক। তাও গেল মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া উইম্বলডনের ফাইনালে যার কাছে হেরেছেন তাকে হারিয়েই পেয়েছেন এই পদক। রোববার (৪ আগস্ট) রাতে ফিলিপে শাঁতিয়ের কোর্টে প্যারিস অলিম্পিক টেনিসের ফাইনালে সময়ের আরেক সেরা টেনিস তারকা স্পেনের কার্লোস আলকারাজকে হারালেন ৭-৬, ৭-৬ গেমে। দুটি সেটই গড়ায় টাইব্রেকারে। ২৪টি গ্র্যান্ডস্লামের সঙ্গে এখন অলিম্পিক স্বর্ণেরও মালিক তিনি। ম্যাচ শেষ হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলনে জোকোভিচ বলেন, ‘এটিই সবচেয়ে স্পেশাল। আজকের আগ পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত ছিল লন্ডনে ২০১২ অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সার্বিয়ার পতাকা বয়ে নেওয়া। একজন অ্যাথলেটের জন্য সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত দেশের পতাকা বয়ে নেওয়া। কিন্তু আজকে যা পেয়েছি এতদিন যত কিছু আমার কল্পনায় ছিল, যত কিছু আশা করেছি, যা কিছু চেয়েছি, সব ছাড়িয়ে গেছে তা। সার্বিয়ার পতাকা উড়ছিল, সোনার পদক গলায় নিয়ে জাতীয় সংগীত গাইছিলাম, পেশাদার ক্রীড়ায় এই চেয়ে ভালো কোনো অনুভূতি আর হতে পারে না। আমি আকাশে উড়ছি।’ এসময় নিজের অলিম্পিকের ক্যারিয়ারের স্মৃতিচরণ করে বলেন, ‘আমার প্রথম অলিম্পিকে (২০০৮) ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। এরপর পদক জিততে ব্যর্থ হয়েছি। চার বারের মধ্যে তিন বারই সেই প্রতিবন্ধকতা পার হতে পারিনি, সেমি-ফাইনালে হেরে গেছি। অলিম্পিক আসে চার বছর পরপর। দেশের হয়ে সোনা জয়ের সুযোগটি তার বিরল। আমি জানি, বয়স ৩৭ হয়ে গেছে, আর সুযোগ খুব একটা পাব না। এখন এই ৩৭ বছর বয়সে এসে, ২১ বছর বয়সী একজনের সঙ্গে, এই মুহূর্তে যে সম্ভবত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, কিছু আগেই যে রোলাঁ গাঁরোয় ও উইম্বলডনে জিতেছি এবং সম্প্রতি অসাধারণ টেনিস খেলছে, তার সঙ্গে এমন জয় জানতাম তাকে হারাতে সর্বোচ্চ চূড়া ছুঁতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় নিলে এটিই সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য।’