জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক মঞ্চস্থের সময় আক্রান্ত শিল্পীরা

23

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটক মঞ্চায়নের সময় এর কলাকুশলীরা আক্রান্ত হয়েছেন। নাটকের শেষ ভাগের দিকে শিল্পীরা হঠাৎ ব্যাপক চুলকানিতে আক্রান্ত হন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যার পরে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে ‘ফলাফল নি¤œচাপ’ নাটকটি মঞ্চস্থ হচ্ছিল। নাটক মঞ্চায়নের আগে বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি। আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় নাটক শুরু হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সল জানান, নাটকের শেষ ভাগের দিকে এর কলাকুশলীরা হঠাৎ ব্যাপকভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুলকাতে শুরু করেন এবং চুলকানির ভয়াবহতায় কেউ কেউ চিৎকার এবং কান্নাকাটি শুরু করেন। তিনি জানান, শিশুসহ নাটকের ১৭ জন শিল্পী এই চুলকানিতে আক্রান্ত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শরীরে পানি ঢেলে তা নিবারণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও প্রশমিত না হওয়ায় বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে মাননীয় এমপি ফেরদৌসী ইসলাম জেসি মহোদয়সহ আমার ঊর্ধ্বতনকে অবহিত করি। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এলে আক্রান্ত সবাইকে জেলা হাসাতপালে নেয়া হয় এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তিনজন বাদে অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এই তিনজনকে আজ  মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবাই বর্তমানে সুস্থ আছে বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে এমপি ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।
ফয়সল আরো জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে নাটক চলাকালীন কোনো এক ফাঁকে সাজঘরে কেউ কলাকুশলীদের পোশাকে এই-জাতীয় (চুলকানির কোনো মেডিসিন) কিছু মিশিয়ে বা স্প্রে করে থাকতে পারে বলে তিনি অনুমান করছেন।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল কালাম সাহিদ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে গৌড় বাংলাকে জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাজঘরটি অত্যন্ত নোংরা, সেই নোংরা ঘরের বিষাক্ত কোনো কিছু থেকে এমনটা হলো নাকি বদমায়েশি করে কেউ কিছু মিশিয়েছে তা নিশ্চিত করে চিকিৎসক বা অন্য কেউ কিছু বলতে পারছেন না। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।