সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিদ্যা, জ্ঞান, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতী। প্রতিবছরের মতো এবারো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শত শত ভক্ত। ঢাক, ঢোল, বাদ্য ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। পুজো দিতে আসা ভক্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিদ্যার দেবী তাই আমরা এই পুজো করি। এই পুজো করলে পড়ালেখা ভালো হয়। সকাল থেকে উপোস করে আমরা মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিই। করোনার কারণে যদিও আমাদের আনন্দটা অনেকটা মলিন হয়ে গেছে তারপরও সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই পুজো করছি আমরা। এই পুজোর আরো একটি বিশেষ দিক হচ্ছে যারা ছোট বাচ্চা কেবল পড়ালেখা শুরু করবে এই দিনে তাদের হাতে খড়ি দেয়া হয়। শুধু বাসা বাড়ি কিংবা মন্দির নয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেবীর আরাধনা করা হয়। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ চত্বরে পূজা মন্ডপে বাণী অর্চনা, পুষ্পার্ঘ অপর্ণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শঙ্কর কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদসহ অন্যরা। এছাড়াও বিশিষ্টজনরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া, শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজে যথাযথ মর্যদায় অনুষ্ঠিত হয় সরস্বতী পূজা। শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ চত্বরে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক কনক রঞ্জন দাস, কলেজটির শিক্ষক শাহিন কাওসার, সমিত চ্যাটার্জি এবং কলেজের গভর্নিং কমিটির সদস্য কোয়েল মিয়া, গোলাম কিবরিয়া, পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বাক শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার সাহা, কলেজ শাখা সনাতন ছাত্র পরিষদের সম্পাদক রাজেন্দ্র নাথ শীলসহ অন্যরা।