চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় মাল্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার ৩০০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে মাল্টা। বাণিজ্যিকিভাবে চাষের পাশাপাশি প্রদর্শনী হিসাবে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে।
গত কাল বৃহস্পতিবার জেলার সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় কৃষক মতিউর রহমানের মাল্টা বাগান মনামিনা কৃষি খামার) পরিদর্শনকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা এমনটাই জানান। তিনি বলেন, অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় মাল্টা চাষে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন-লাল মাটির কারণে বরেন্দ্র এরাকার মাল্টা সুস্বাদু। এছাড়াও মাল্টা বাগান পরিদর্শন করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. সাইফুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামস-ই তাবরিজ, হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম। তারা জানান, মতিউর রহমানের মনামিনা কৃষি খামার যথেষ্ট সফলতা পেয়েছে এবং তাকে দেখে বর্তমানে অনেকেই মাল্টা চাষে এগিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনামিনা কৃষি খামারে দেখা গেছে, ছোট ছোট গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। কোনটার রং হলুদ তো কোনটা আবার সবুজ। রং নিয়ে কৃষি কর্মকর্তারা জানান, হলুদের চেয়ে সবুজ রংয়ের মাল্টাতে পুষ্টিসহ অন্যান্য গুণাগুণ বেশি। পোকা মাকড় বা রোগবালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাল্টার গায়ে ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে রাখায় রং হলুদ হয়েছে বলেও জানান তারা।
মনামিনা কৃষি খামারের প্রধান কর্তা মতিউর রহমান জানান, বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ৩ হাজারটি মাল্টা গাছ আছে, যার মধ্যে অন্তত ২৫০টি গাছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পিস মাল্টা রয়েছে। এক হালি বা প্রতি চারটি মাল্টার দাম ১৬০ টাকা। বাজারজাত করার জন্য কোন সমস্যা নেই। বাগান থেকেই ক্রেতারা ১৪০ টাকা হালি হিসাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখিকরণ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এমাল্টা চাষে প্রথম বছরেই সাফল্য আসে।
অন্যদিকে এক সময়ের সরকারি কর্মকর্তা বর্তমানে কৃষক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু জানান, একই ইউনিয়নে তিনি ৩ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন।