চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যা প্রসঙ্গসহ সদর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ এমপি।
শনিবার বেলা ১১টায় জেলাশহরের ওয়ালটন মোড় এলাকায় তার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আব্দুল ওদুদ এমপি বলেন, খাইরুল আলম জেমকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়নি। শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দনা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকুক না কেন, আমরা এর বিচার চাই। অথচ বিষয়টিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা দলীয় কোন্দল হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, জেলায় আওয়ামী লীগের মধ্যে দলীয় কোনো কোন্দল নেই। অথচ দলীয় কোন্দল বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করার কাজটিও একটি ষড়যন্ত্র।
জেম হত্যা মামলায় আসামি করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল ওদুদ বলেনÑ জেম হত্যাকাণ্ড একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা, জেম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে জেম ফেসবুক লাইভে অনেক কথা বলেছে এবং তার লিখিত একটি বক্তব্যও আছে। কারা হত্যা করেছে, কারা সহযোগিতা করেছে, কে বা কারা হুকুম দিয়েছে তা খুঁজে বের করে খাইরুল আলম জেমের ভাই মামলা করেছে। এই মামলায় আসামি করার ক্ষেত্রে আমার কোনোই ভূমিকা নেই।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেনÑ ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে পাস করেছিলাম। তখনো আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আমাকে মেনে নিতে পারেনি, এখনো তারা আমার বিরোধিতা করছেন। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে, তিনি বলতে পারবেন কে হবেন প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতার কেনার সময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় খাইরুল আলম জেম। এঘটনায় তার ভাই মনিরুল ইসলাম ২২ এপ্রিল বাদি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।