সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রজব, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪ by

জীবন বরকতময় হয় যে আমলে

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ [বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫]
দুনিয়াতে সফলতা অর্জনের একটি গোপন রহস্য হলো, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তাঁর প্রিয় বান্দাদের সুসম্পর্ক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘(তারাই বিবেকবান) আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণœ রাখতে আদেশ দিয়েছেন, যারা তা অক্ষুণœ রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, আর ভয় করে কঠোর হিসাবকে। ’ (সুরা রাদ, আয়াত : ২১)
উল্লিখিত আয়াতে বলা হয়েছে, বিবেকবান ঈমানদাররা আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে অত্যন্ত যতœবান হয়।
পাশাপাশি তারা সার্বিক বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে। এই ভয় উৎসারিত হয় সম্মান, জ্ঞান, ভক্তি ও ভালোবাসা থেকে। তাদের কাছে প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মুখ্য হয়ে থাকে। বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতিতে পরকালের জবাবদিহির ভয় করে। আল্লাহর ভয় ও পরকালে জবাবদিহির ভয় মানুষকে বিশ্বাস ও বিবেক নির্দেশিত পথে পরিচালিত করে।
এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে যেমন সম্মানিত করেন, তেমনি তাদের হায়াত ও রিজিকেও বরকত দান করেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)
সাধারণত রক্ত, বংশ কিংবা বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। অনেক সময় বন্ধুত্ব থেকেও আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আত্মীয়তার সম্পর্ক থেকেও গভীর হয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যাবশ্যকীয়। মহান আল্লাহ আমাদের উপার্জনের কিছু অংশে আত্মীয়-স্বজনের হক রেখে দিয়েছেন, যা তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য স্পষ্ট ভাষায় আদেশ করেছেন। পাশাপাশি এই কাজটি সফলতার সূত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম। ’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৩৮)
অতএব আমরা যারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাই, আর্থিক সচ্ছলতা আনতে চাই, তাদের অবশ্যই মহান আল্লাহর এই বিধানকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর রাখতে হবে। কেউ কষ্টে থাকলে অবশ্যই তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। ইনশাআল্লাহ, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ আমাদের সব অভাব দূর করে দেবেন।
জীবন বরকতময় হয় যে আমলে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ [বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫]
দুনিয়াতে সফলতা অর্জনের একটি গোপন রহস্য হলো, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তাঁর প্রিয় বান্দাদের সুসম্পর্ক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘(তারাই বিবেকবান) আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণœ রাখতে আদেশ দিয়েছেন, যারা তা অক্ষুণœ রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, আর ভয় করে কঠোর হিসাবকে। ’ (সুরা রাদ, আয়াত : ২১)
উল্লিখিত আয়াতে বলা হয়েছে, বিবেকবান ঈমানদাররা আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে অত্যন্ত যতœবান হয়।
পাশাপাশি তারা সার্বিক বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে। এই ভয় উৎসারিত হয় সম্মান, জ্ঞান, ভক্তি ও ভালোবাসা থেকে। তাদের কাছে প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মুখ্য হয়ে থাকে। বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতিতে পরকালের জবাবদিহির ভয় করে। আল্লাহর ভয় ও পরকালে জবাবদিহির ভয় মানুষকে বিশ্বাস ও বিবেক নির্দেশিত পথে পরিচালিত করে।
এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে যেমন সম্মানিত করেন, তেমনি তাদের হায়াত ও রিজিকেও বরকত দান করেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)
সাধারণত রক্ত, বংশ কিংবা বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। অনেক সময় বন্ধুত্ব থেকেও আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আত্মীয়তার সম্পর্ক থেকেও গভীর হয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যাবশ্যকীয়। মহান আল্লাহ আমাদের উপার্জনের কিছু অংশে আত্মীয়-স্বজনের হক রেখে দিয়েছেন, যা তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য স্পষ্ট ভাষায় আদেশ করেছেন। পাশাপাশি এই কাজটি সফলতার সূত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম। ’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৩৮)
অতএব আমরা যারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাই, আর্থিক সচ্ছলতা আনতে চাই, তাদের অবশ্যই মহান আল্লাহর এই বিধানকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর রাখতে হবে। কেউ কষ্টে থাকলে অবশ্যই তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। ইনশাআল্লাহ, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ আমাদের সব অভাব দূর করে দেবেন।

About The Author

শেয়ার করুন