Last Updated on মে ৩০, ২০২৪ by
জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ফিনল্যান্ডের সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর সমৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে মসৃণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছ থেকে আরো কয়েক বছর জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিম্মো লাহদেবির্তা বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ২০২৬ সাল থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। তিনি ২০০৮ এবং ২০১৯ সালে তার ফিনল্যান্ড সফর এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের কথাও স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় গণহত্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে নতুন শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জ্বালানি এবং তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাত বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত পারদর্শী এবং তারা এই খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণে শিগগিরই তার দেশ থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভারতের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়’ এই নীতি অনুসরণ করে তার সরকার ‘সুপ্রতিবেশী’সুলভ সম্পর্ক বজায় রাখছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।