ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অবশেষে ভাগ হলো ফজলি আম। আজ মঙ্গলবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে ফজলি আমকে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়। আগামী রবিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন শুনানিতে অংশ নেয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের আইনজীবী আবু হাসিব।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ‘ফজলি’ আমকে জিআই স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ২০১৭ সালে আবেদন করেছিল রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। সেই আবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করা হয়।
এদিকে এই স্বীকৃতির বিরুদ্ধে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আপত্তি জানিয়ে আপিল করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন।
সেই আপিলের ওপরই গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার পর রায় ঘোষণা করা হয়।
শুনানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জর পক্ষে উপস্থিত ছিলেনÑ অতিরিক্ত সচিব চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতী সন্তান আমিনুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক জাহাঙ্গীর সেলিম, অ্যাডভোকেট আবু হাসিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শহিদুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিকসহ অন্যরা।
রাজশাহীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন ও গাজীপুর বিএআরআই’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ফল বিভাগ) ড. মো. শরফ উদ্দিনসহ অন্যরা।
রায় ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক গৌড় বাংলাকে বলেনÑ ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, এই আমকে জিআই পণ্য হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আপত্তি জানিয়ে আপিল করা হয়। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর কথা শোনেন কর্তৃপক্ষ এবং শেষ পর্যন্ত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পণ্য হিসেবে ফজলি আমকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস বিভাগ (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে।