বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মে ২৪, ২০২৫ by

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি আলোর পাঠাশালায়

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চিত্রাংকন, কুইজ, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা এইসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে এসবের আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরআগে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইচ্ছেমত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। জাতীয় সংগীতের পর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির কবিতা আবৃত্তির বিষয় ছিল যথাক্রমে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা আমি হব, লিচু চোর ও সংকল্প কবিতা।
অন্যদিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। দুপুর ১২টায় শুরু হয় আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন চাঁপাইনবাবঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পী রামিজ আহমেদ অন্তর। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন, এসএমসি কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, রামিজ আহমেদ অন্তর।
কাজী নজরুলের ‘নারী’ কবিতাটি আবৃত্তি ও ইসলামিক গজল পরিবেশন করেন সিনিয়র শিক্ষক শিরিনা খাতুন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন উম্মে হাবিবা, মরিয়ম খাতুন, সাদিয়া খাতুন, মুসলিমা খাতুনসহ অন্যরা। নজরুলের লেখা হলুদ গাঁদার ফুল গানে নাচ পরিবেশন করেন নন্দিনী সাইচুরি ও সুলেখা টুডু। রাঙামাটির পথে লো গানে নাচ পরিবেশন করে সুরমিলা হাঁসদা, সোনালি হাঁসদা, মৌমিতা হাঁসদা, ববিতা সাইচুরি, রিমিকা সাইচুরি, গীতা মুরমু। নজরুল রচিত রণসংগীতে ডিসপ্লে পরিবেশন করে মরিয়ম ও তার দল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক লুইশ মুর্মু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কাজী নজরুল শুধু আমাদের জাতীয় কবিই নন। তিনি ছিলেন বিপ্লবের প্রতীক। সাম্যের প্রতীক। তাঁর রচিত গান, কবিতা যুগে যুগে বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। অধিকার আদায়ের আন্দোলনগুলোতে তাঁর বাণী সকলের মুখে মুখে শোনা যায় এখনও। তিনি আমাদের চেতনার মাঝে লুকিয়ে রয়েছেন। নজরুলের আদর্শকে বুকে লালন করতে পারলে সমাজ থেকে অনাচার ও বৈষম্য দূর হবে। তাই তাঁকে জানতে হবে। তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে।
শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ উপহার দেয়া হয়। আগত অতিথি ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্যদের কলম উপহার দেয়া হয়।

About The Author

শেয়ার করুন