মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on অক্টোবর ২২, ২০২৪ by

জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে দেয়া হবে মাসব্যাপী টিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় সিভিল সার্জন অফিস এই সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ।
সভায় মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ও টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা হক।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী এবং হাই স্কুল ও মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ১ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। এজন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়া একই বয়সের যেসব মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না, তাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, রাজশাহী বিভাগে ৯৫ ভাগ মেয়েকে এই টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯ ভাগ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইতোমধ্যে ১২ ভাগ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অভিভাবক, শিক্ষক, ইমামসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাদ্রাসাগুলোয় একটু সমস্যা হতে পারে। কাজেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের এই টিকার গুরুত্বটি ভালোভাবে বোঝাতে হবে। এই কর্মসূচিটি সফল করতেই হবে।

About The Author

শেয়ার করুন