রমজান মাস এলে যানজট চরম আকার ধারণ করে। একেতো তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ট তার ওপর তীব্র যানজট। যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত কয়েকটি টিম। কিন্তু তাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে যেকোন জনসমাগম ও সমাবেশ জনজীবনকে যে আরো বিপর্যস্ত করে তুলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
৮ জুন রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে আজ ১০ জুন দেশের সব জেলা ও মহানগরে এবং ঢাকা মহানগরীর থানায়-থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
রমজানে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও চলমান আন্দোলন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বিএনপি। তারা মনে করছে আন্দোলন স্থগিত রাখলে নেতা কর্মীদের মধ্যে ঝিমুনি চলে আসবে। আলসে ও তুলনামূলক কম তৎপর নেতা কর্মীদের সজাগ রাখতে বিএনপির এমন আন্দোলন কর্মসূচির অবতারণা বলে জানা যায় বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র হতে। আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করে যে, বিএনপির আন্দোলনের অন্যতম মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধার সৃষ্টি করা। এতে জনগণ কিছুটা হলেও বিএনপির অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পায়। এছাড়া, অনেকাংশেই দেখা যায় যে আন্দোলন ও বিক্ষোভের ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষ সঠিক কারন না জেনেই সরকারকে দোষারোপ করতে থাকে। তাই রমজান মাসে আন্দোলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে সরকারের বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি করাই বিএনপির এ আন্দোলনের অন্যতম মূল লক্ষ্য।
ঈদের কেনাকাটা ও দেশে ফেরার তাগিদে পরিবহন সেবা পেতে হাট-বাজার, শপিংমল, বাস ও ট্রেন স্টেশন ও লঞ্চঘাটে ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি যে ভালোই ব্যাঘাত ঘটাবে তাতে কোন সন্দেহ দেখছেনা জনগণ।