অসাধারণ এই ট্রেইলে আছে হরিণমারা ঝরণা, হাঁটুভাঙ্গা ঝরণা, আমতলী ঝরণা, বাওয়াছড়ার মুখ এবং সর্পপ্রপাত। অল্প দূরত্বের মাঝে এতোগুলো ঝরনা। তারপর প্রতিটা ঝরনার সৌন্দর্য আলাদা আলাদা। ঝিরিপথ আর হ্রদের সৌন্দর্যও আপনাকে আলাদা রুপে মোহিত করবে। খুব কাছ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এখানে একদিন সময় কাটিয়ে আসতে পারেন। ছোট কমলদহ বাইপাসের শুরুতে নেমে পূর্বদিকে হাঁটা শুরু করলে একসময় পাহাড়ের দেয়াল পেরোতেই প্রথমে পড়ে নীলাম্বর হ্রদ। এরপর লেকের পাড় ধরে হাঁটতে থাকলে কিছুক্ষণ পর ডিঙাতে হয় একটা উচু পাহাড়। সে পাহাড় পেরিয়ে ঝিরি যেখানটায় লেকে মিশেছে সেখান থেকে শুরু ঝিরিপথ। অনেকটা পথ চলার পর এক জায়গায় ঝিরির উৎস দুটি ভাগ হয়ে যাবে। হাতের বামদিকের ঝিরি ধরে কিছুক্ষন হাঁটলেই হরিণমারা ঝরণা আর ডানদিকের ঝিরিপথে কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার দুভাগে ভাগ হয়ে যায় ঝিরি। এবার বামদিকের ঝিরি ধরে এগুলেই হাঁটুভাঙ্গা ঝরনা। তারপর সামনের দিকে গিয়ে বেশ উঁচু একটা ক্যাসকেড বেঁয়ে উপরের দিকে ২০ মিনিট হাঁটলে পাওয়া যাবে আমতলী ঝরণা। আর ডানদিকের ঝিরি ধরে এগুলে বাওয়াছড়ার মুখ এবং সর্পপ্রপাত।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে সীতাকু-ের আগে ছোট কমলদহ বাজার নামতে হবে। বাজারের পরের রাস্তা আর বাইপাস রোড যেখানে মিলেছে সেখানে নামতে হবে। সেখান থেকে রাস্তার পূর্ব দিকে ঢুকতে হবে। এই রাস্তা ধরে সামনের দিকে রেল লাইন পার হয়ে হাঁটা শুরু করতে হবে। কিছুক্ষন হাঁটার পর ঝিরি পথের শুরু। ঝিরিপথ ধরে হাঁটতে থাকলে প্রথমে পাবেন নীলাম্বর হ্রদ। তারপর পাবেন হরিনমারা ঝরনা। তারপর ঝিরিপথের বামদিক ধরে এগিয়ে গেলে পাবেন হাঁটুভাঙ্গা ঝরণা। তারপর পাবেন আমতলী ঝরণা। আর ডানদিকের ঝিরিপথ ধরে এগোলে পাবেন বাওয়াছড়ার মুখ।