Last Updated on জুলাই ১০, ২০২৪ by
চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বৈঠক করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাম্প্রতিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শি জিন পিংয়ের সঙ্গে তার শেষ আলোচনা করেন।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)সহ ২১টি দলিলে সই করে।
শি জিনপিং এবং লি কিয়াংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাণিজ্য ও উন্নয়নে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রধান্য পেয়েছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকেলে তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে বেইজিং পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ চীন সফর (২০১০, ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪)।
দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করবে।
গত ২১-২২ জুন ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দুইবার চীন সফর করেন। তিনি মহান নেতা মাও সেতুং এবং চো এন লাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
জাতির পিতা তাঁর সফরের পর তিনি চীনা নেতৃত্ব এবং তাদের নীতির প্রতি তাঁর প্রশংসা প্রতিফলিত করে ‘আমার দেখা নয়া চিন’ (ঞযব ঘবি ঈযরহধ ধং ও ঝধ)ি শিরোনামে একটি বই লিখেছেন।