চাঁপা্জইনবাবগঞ্জ: জাতির পিতার জন্মদিনে এতিম শিশুদের খাওয়ালেন জেলা প্রশাসক গালিভ খান

13

ওরা কেউ মা হারা তো কেউ বাবা হারা। ওরা মা বাবার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত। আর তাই ছেলেবেলা কাটছে সরকারি বালিকা শিশু পরিবারে। সরকারি শিশু পরিবারেই ওরা একটু একটু করে বেড়ে উঠছে। ওদের জীবন যাপন সমাজের অন্য শিশুদের থেকে আলাদা। সরকারি শিশু পরিবারের এইসব শিশুদের যাঁরা দেগভাল করেন তাঁরাই তাঁদের স্নেহ-ভালোবাসার পাত্র। ধরাবান্ধা নিয়ম মেনে চলতে হয়।
১৭ মার্চ ২০২২। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে। জেলা প্রশাসন জাতীয় কর্মসূচির আলোকে স্থানীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এর ১শজন শিশুর জন্য উন্নতমানের খাবার ব্যবস্থা করা হয়।
দুপুরে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও তাঁর পত্নী মাহফুজা সুলতানা বাবা মায়ের মমতায় নিজ হাতে সরকারি শিশু পরিবারের এই শিশুদের পাতে খাবার পরিবেশন করেন। তাঁদের কাছ থেকে মা বাবার মতো স্নেহ ও মমতা পেয়ে শিশুগুলোর চোখেমুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। একটি অন্যরকম দিন কাটায় বাপ মা হারা শিশুরা। একপর্যায়ে কেক কেটে শিশুদেও খায়ানো হয়। ভাগাভাগি কওে নেয়া ঞয শিশু দিবসের আনন্দ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সরকারি শিশু পরিবারটি। এ পরিবারে স্বজনহীন প্রায় ১০০জন শিশু বেড়ে উঠছে। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার সুযোগও পাচ্ছে তারা। তারপরও মা বাবা আর স্বজন না থাকার কষ্ট ওদের তাড়া করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, সহকারী কমিশনার শাহনাজ পারভিন।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সরকার এসব শিশুর জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেছে। তাদের খাবারের জন্য গিয়েছিলাম। এই শিশুদের একটু খোঁজ খবর নিলাম। তিনি বলেন, এটা শুধু সরকার বা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নয়। সবাই যেন এগিয়ে আসে সেটাই কাম্য। বিত্তবানরা যদি তাদের সন্তানদের জন্মদিন এসব বাচ্চাদের নিয়ে পালন করে, তাতে ওদের অনেক ভালো লাগে। আমি চাই সমাজের সবাই সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর পাশে দাঁড়াক। তাদেরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখুক। পারিবারিক যে সব উৎসব আছে সেসব উৎসবের সাথে এদের একাত্ম করুক।