চাঁপাইবনাবগঞ্জে প্রস্তুত ১৮২১৬৭টি কোরবানির গবাদিপশু
ঈদুল আজহা আসতে আরো মাস দুয়েক বাকি। প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিক্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট-বড় ১৩ হাজার ১ জন খামারি দেশী ষাঁড়, বলদ, ছাগল, ভেড়াসহ গবাদিপশু লালন-পালন করেছেন। এবারো জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ৫০ হাজারের অধিক গবাদিপশু। উদ্বৃত্ত থাকা গবাদিপশুগুলোকে জেলার বাইরে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গবাদিপশুগুলোকে রোগবালাই থেকে রক্ষায় অধিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে খামারিদের সবরকম পরামর্শ দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫২টি কোরবানির গবাদিপশুর চাহিদার বিপরীতে লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৬৭টি। চাহিদার তুলনায় ৫২ হাজার ২১৫টি বেশি। এর মধ্যে এবার জেলার সদর উপজেলায় ষাঁড় ১৬ হাজার ৬০৭টি, বলদ ১৮ হাজার ১২০টি, গাভী ১৭ হাজার ১০৬টিসহ মোট গরু ৫১ হাজার ৮৩৩টি, মহিষ ৩১২টি, ছাগল ৩১ হাজার ১১২টি, ভেড়া ১ হাজার ৮৪৪টি। সবমিলিয়ে সদর উপজেলায় মোট চাহিদা রয়েছে ৪৫ হাজার ৫৮০টি, লালন-পালন করা হয়েছে ৮৫ হাজার ১০১টি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৩৯ হাজার ৫২১টি গবাদিপশু। সদর উপজেলায় খামারি রয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৯ জন।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলায় ষাঁড় ৭ হাজার ১৩২টি, বলদ ৩ হাজার ৫১৩টি, গাভী ৩ হাজার ১২৭টিসহ মোট গরু ১৩ হাজার ৫১৩টি, মহিষ ১৫টি, ছাগল ২০ হাজার ৭৮২টি, ভেড়া ১ হাজার ৫২৯টি। সবমিলিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলায় কোরবানির গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৩৪ হাজার ১৩০টি এবং এর বিপরীতে লালন-পালন করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৮৩৯টি, উদ্বৃত্ত থাকবে ১ হাজার ৭০৯টি গবাদিপশু। এই উপজেলায় খামারি রয়েছেন ৫ হাজার ৮১৩ জন।
অপরদিকে গোমস্তাপুর উপজেলায় ষাঁড় ৮ হাজার ৯৯০টি, বলদ ৬ হাজার ৯৫৯টি, গাভী ৬ হাজার ৪০৬টিসহ মোট গরু ২২ হাজার ৩৫৫টি, মহিষ ৫৬টি, ছাগল ৭ হাজার ৭৬৬টি, ভেড়া ৫ হাজার ৪টি। সবমিলিয়ে গোমস্তাপুর উপজেলায় কোরবানির গবাদিপশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৩০ হাজার ৮৪২টি এবং এর বিপরীতে লালন-পালন করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১৮১টি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৪ হাজার ৩৩৯টি গবাদিপশু। এই উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১ হাজার ৩৭ জন।
এদিকে নাচোল উপজেলায় ষাঁড় ২ হাজার ৪১২টি, বলদ ১ হাজার ২৬৮টি, গাভী ১ হাজার ৯৫২টিসহ মোট গরু ৫ হাজার ৬৩২টি, মহিষ ৪২টি, ছাগল ৩ হাজার ৫৭১টি, ভেড়া ১ হাজার ৩৬২টি। সবমিলিয়ে নাচোল উপজেলায় কোরবানির গবাদিপশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৯ হাজার ৮৪০টি এবং এর বিপরীতে লালন-পালন করা হয়েছে ১০ হাজার ৬১২টি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৭৭২টি গবাদিপশু। নাচোল উপজেলায় খামারি রয়েছেন ৭৭৪ জন।
এছাড়া ভোলাহাট উপজেলায় ষাঁড় ৩ হাজার ৬৩৭টি, বলদ ৩২৬টি, গাভী ৩ হাজার ৩৩৩টিসহ মোট গরু ৭ হাজার ২৯৬টি, মহিষ ৫৮টি, ছাগল ৬ হাজার ৯০০টি, ভেড়া ১ হাজার ১৮০টি। সবমিলিয়ে ভোলাহাট উপজেলায় কোরবানির গবাদিপশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৯ হাজার ৫৬০টি। এর বিপরীতে লালন-পালন করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৩৪টি, উদ্বৃত্ত থাকবে ৫ হাজার ৮৭৪টি গবাদিপশু। এই উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১ হাজার ৩৮৮জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।