চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেড় বছরের শিশুসহ ৬ জন রোগী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন- গত জানুয়ারি মাস থেকে আরো ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। তারা বেশির ভাগই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং জ্বর হলে পরীক্ষায় তাদের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তিনি বলেন- আজ বুধবার দেড় বছরের একজন শিশুসহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬ জন। প্রতিদিনই দুয়েকজন রোগী আসছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতির পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি। তাই মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে জেলা তথ্য অফিস মাইকিং করছে।
সিভিল সার্জন আরো বলেন- বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা, বাড়ির ছাদে টবে পানি যেন না জমে সে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। পৌরসভাকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, শিশুসহ যে কারো শরীরে জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোয় গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষা ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। মশারির মধ্যে ঘুমানোর জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ জিয়াউর রহমান আরমান জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে, মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। যেখানে সেখানে ডাবের খোসা না ফেলার জন্য বলা হচ্ছে।