Last Updated on জানুয়ারি ১০, ২০২৫ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
কারিগরি শিক্ষার আলোয় পথ খুঁজে পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’। প্রতিষ্ঠানটি মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর উত্তর পাশ সংলগ্ন বারঘরিয়ায় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেতুর ওপর থেকেই চোখে পড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বিশালাকারের অ্যাকাডেমিক ভবনের।
২০০৬ সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার টেকনোলজি ও রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড ইয়ারকন্ডিশন টেকনোলজি (আরএসি) চালু করে ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে চার বছর মেয়াদি ৬টি টেকনোলজিতে চাঁপাইনবাবসগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ৩ হাজার ৫শ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। টেকনোলজিগুলো হচ্ছে- কম্পিউটার টেকনোলজি, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড ইয়ারকন্ডিশন টেকনোলজি (আরএসি), ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, মেকাটনিকস ও ফুড টেকনোলজি।
সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রয়েছে সুশৃঙ্খল শিক্ষা কার্যক্রম এবং দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও পরিশ্রমী শিক্ষকমণ্ডলী। রুটিনমাফিক নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম ও ল্যাব ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কাউটিং, রোভার স্কাউটিংসহ রয়েছে বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা।
এই বড় একটি প্রতিষ্ঠানে ২০১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৩৪ জন। এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষক রাখা হয়েছে ১০ জন, প্রকল্পের অধীন ১৭ জন ও খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১৬ জন। সে হিসাবে মোট শিক্ষক রয়েছেন ৭৭ জন। অন্যদিকে কর্মচারীর পদ ১৩০টি থাকলেও কর্মরত মাত্র ১৭ জন। তবে শিক্ষক সংকট থাকলেও থেমে নেই প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কার্যক্রম। যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তারা তাঁদের সবটুকু দিয়ে পাঠদান করে যাচ্ছেন। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ২ হাজার ৯৫০ জন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন কর্মরত শিক্ষকরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন- আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে পাঠদানসহ এই প্রষ্ঠিানটিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৩০-৪০ জন শিক্ষক এবং ১৫-২০ জন কর্মচারী পাবো। তখন আরো ভালোভাবে সবকিছু চালানো সুবিধা হবে।