Last Updated on মে ১২, ২০২৫ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর : ৬৮ পদের বিপরীতে কর্মরত ৩১ জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অধীন সরকারিভাবে ৬৮টি মঞ্জুরিকৃত পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৩১ জন। ৪৭টি পদই শূন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রাণিম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরে মঞ্জুরিতকৃত পদ ১৩টি। তার মধ্যে কর্মরত আছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ ৫ জন। ৮টি পদই শূন্য রয়েছে। এর ফলে দৈনন্দিন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মঞ্জুরিকৃত পদগুলো হচ্ছে- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ১ জন, কর্মরত ১ জন। এছাড়া একজনের ডিটিও পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এডিএলও একজনের পদে একজন কর্মরত রয়েছেন, একটিমাত্র উচ্চমান সহকারী, এস.এ.এল.ও. এবং স্টোরকিপারের ১টি করে পদ থাকলেও পদ ৩টি শূন্য রয়েছে। এছাড়া এফএ ফডার, ক্যাশিয়ার, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়িচালক, অফিস সহায়ক, গার্ড, নৈশকালীন নিরাপত্তা প্রহরীর একটি করে পদ থাকলেও এসব পদে কোনো জনবল নেই।
অন্যদিকে ৫ উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ৫টি পদ থাকলেও সদর ও নাচোলে এই পদে কর্মকর্তা নেই। এছাড়া ৯ম গ্রেডের ভিএস পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ জন। নাচোলের পদটি শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে ৫টি ইউএলএ/এসএএলও ৫টি পদের ৫টিই শূন্য। ১৫টি ডিএফএ/এসএএলও পদের মধ্যে ৭টিতে জনবল আছে এবং ৮টিতে নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৫টি পদের ৩টিই শূন্য। এছাড়ার ৫ জন অফিস সহায়কের মধ্যে ৪ জনই নেই। এর ফলে যেসব উপজেলায় জনবল সংকট আছে, সেসব উপজেলায় সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চললেও দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজ বিঘিœত হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন- জনবল সংকট থাকলেও মাঠপর্যায়ে সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। নিয়মিত খামারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে, খামারিদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, ছাগলের পিপিআর রোগ নির্মূলে এবং গরুর ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে জোরালোভাবেই কার্যক্রম চলছে। আশা করা হচ্ছে, অচিরেই জনবল সংকট কেটে যাবে।