Last Updated on মে ১২, ২০২৪ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগী সদস্যদের পদ নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে দেয়া স্মারকলিপির ব্যাখ্যা দিয়েছেন চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। সেই সঙ্গে প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার চেম্বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- আমরা লক্ষ্য করছি সহযোগী কিছু সদস্যকে বাদ দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সত্য নয়। আমরা শুধু গঠণতন্ত্র বহির্ভূতভাবে যে ৬৫ জনকে সহযোগী সদস্য পদ দেয়া হয়েছিল তা সংশোধন করে সাধারণ সদস্য হওয়ার জন্য বলেছি। তাদের বাদ দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে কয়েকজন সাধারণ সদস্য পদ নিয়েছেন।
আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবাইকে নিয়েই জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ কয়েকদিন আগে মাননীয় জেলা প্রশাসকের নিকট যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মসিউল করিম বাবু, পরিচালক মফিজ উদ্দিন, আব্দুল আওয়ালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদের স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিনের সহযোগী সদস্যদের সদস্যপদ নবায়ন আটকে রাখার প্রতিকারসহ দ্রুত সহযোগী সদস্য পদ নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী সহযোগী সদস্য, পরিচালক ও সাধারণ সদস্যগণ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- চেম্বারের বর্তমান কমিটির পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রাইহানুল ইসলাম লুনা, আলহাজ এসতার আলী, আব্দুল মতিন সেলিম, সাধারণ সদস্য তৌহিদুর রহমানসহ সহযোগী সদস্যরা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষিভিত্তিক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা এলাকায় কৃষিভিত্তিক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড গড়ে তোলার বিষয়ে আমরা জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে রেলের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে আমরা ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে সহজেই কাঁচামাল আমদানি করতে পারব এবং এখানে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করতে পারব। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠলে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশাপাশের কয়েক জেলার হাজার হাজার বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।