চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতির বিরুদ্ধে স্মারকলিপি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদের স্বেচ্ছাচারীতা ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিনের সহযোগী সদস্যদের সদস্যপদ নবায়ন আটকে রাখার প্রতিকারসহ দ্রুত সহযোগী সদস্যপদ নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী সহযোগী সদস্য, পরিচালক ও সাধারণ সদস্যগণ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের বর্তমান কমিটির পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রায়হানুল ইসলাম লুনা, আলহাজ্ব এসতার আলী, আব্দুল মতিন সেলিম, সাধারণ সদস্য তৌহিদুর রহমানসহ সহযোগী ৪৩ জন সদস্য।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন- বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।
ভুক্তভোগী সহযোগী সদস্য ও পরিচাকগণ অভিযোগ করে বলেন আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগী সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত রয়েছি। বিগত সময়ে সকল ধরনের নির্বাচন, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ইফতারসহ সকল কার্যক্রমে চিঠি পেয়েছিলাম এবং অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু বর্তমান সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমাদের সদস্যপদ নবায়ন না করে আমাদের সদস্যপদ বাতিল করার জন্য একটার পর একটা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করে যাচ্ছেন।
আসন্ন ২০২৪ সালের ভোটকে কেন্দ্র করে বর্তমান সভাপতি অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের সহযোগী সদস্যপদ নবায়ন না করে পরিবর্তন/বাতিল করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া এই চেম্বারের ৮৪ জন সহযোগী সদস্য থাকা সত্বেও কেন আমাদের সাথে এমন আচরণ তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন-“তারা যে অভিযোগটা দিয়েছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। পরিচালনা পর্ষদের সর্বসম্মতিক্রমে এবং তদন্ত কমিটির তদন্তের সুপারিশের ভিত্তিতেই গঠনতন্ত্র উপক্ষো করে বিগত কমিটির সভাপতি অবৈধভাবে যাদেরকে সদস্য করেছিলেন, সেইসব সদস্যকে তাদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ি সহযোগী থেকে সাধারণ সদস্য হওয়ার জন্য অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সময়মত তা করেননি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি বিস্তারিত জানাবো।”