বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন থমকে গেছে। দীর্ঘ সময় শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই করোনা কালেও অনলাইনে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ইউনাইটেড স্ট্যান্ডার্ড স্কুলও এরকম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধারাবাহিকভাবে অনলাইন পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন অভিভাবকরা।
অনলাইনে আকর্ষণীয় উপকরণ সমৃদ্ধ পাঠদান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা মুগ্ধ। সিলেবাসের আলোকে ধারাবাহিক ক্লাস লেকচার ও মূল্যায়নেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে স্কুলটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ রোডে অবস্থতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ। এখানকার শিক্ষকরা নিরলসভাবে অনলাইনে পাঠদান করে চলেছেন।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠগ্রহণ করছেন। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় অনলাইনে।
কয়েকজন অভিভাবন জানান, অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকায় তাদের সন্তানরা বেশ উপকৃত হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফুজ্জামান আদিবের বাবা মনিরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ক্লাসের ফলে শিক্ষার্থীরা অহেতুক বাসায় বসে না থেকে তারা সিলেবাস অনুযায়ী ক্লাস করতে পারছে। এতে তাদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
অভিভাবক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, করোনা শুরু হওয়ার পর ইউনাইটেড স্কুল ভিডিও রেকর্ড করে মেসেঞ্জারে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে একটা ভালো ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ করে রমজান মাসে যেসব ক্লাস ও পরীক্ষা তারা নিয়েছে সেটি খুবই চমৎকার ছিল যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আরেক অভিভাবক নাসরিন আখতার বলেন, অনলাইনে পাঠদানের ফলে বাচ্চার মধ্যে পড়ালেখার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে আরো বেশি পরীক্ষার ব্যবস্থা হলে ভালো হতো বলে তিনি মনে করেন।
অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম বিষয়ে ইউনাইটেড স্ট্যান্ডার্ড স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম জানান, মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যেন পাঠগ্রহণ থেকে একেবারেই বঞ্চিত না হয় সেজন্য পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ পদ্ধতির আরো কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে অভিভাবকরা ভালোই সাড়া দিয়েছেন।