Last Updated on আগস্ট ২, ২০২৪ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারের এলডিডিপি প্রকল্প
১০৫৭ শিক্ষার্থীকে খাওয়ানো হয় ২০০ মি.লি. করে দুধ
সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে দেশের ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সারাবছর বিনামূল্যে দুধ পান করানোর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কর্মসূচির আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় খোলা থাকা অবস্থায় বিনামূল্যে ২০০ মিলিলিটার করে তরল দুধ খাওয়ানো হয়। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উজেলার ৩নং দেবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৫ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৫৮ জন ও ছাত্রী ৭৭ জন; নাচোল উপজেলার কানপাড়া কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ৯০ জন ও ছাত্রী ১০০ জনসহ মোট ১৯০ জন; গোমস্তাপুর উপজেলার ৩৭নং কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ে ছাত্রসংখ্যা ১২৫ জন ও ছাত্রী ১৪১ জনসহ ২৬৬ জন; শিবগঞ্জ উপজেলার চর হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২২৫ জন, এর মধ্যে ছাত্র ১১৪ জন ও ছাত্রী ১১১ জন; ভোলাহাট উপজেলার ১১নং খালেআলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২২১ জন, তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৮ জন ও ছাত্রী ১২৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা এইসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধের মধ্যে আছে শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ ও পানি। শিশুর মেধা বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাকটোজ একমাত্র দুধেই পাওয়া যায়। শরীরের বৃদ্ধি ঘটানো, শক্তি জোগানো ও মেধা বিকাশে দুধ্যের সমতুল্য আর কোনো খাবার গোটা পৃথিবীতে নেই। সরকার তাই শিশুদের জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুগ্ধজাত পণ্য প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলার ৫ উপজেলার ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচিত স্কুলগুলোর ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত আগ্রহী সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ২০০ মিলিলিটার পরিমাণ ইউএইচটি/পাস্তুরাইজ তরল দুধ পান করানো হচ্ছে।
ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন- আড়ং ডেইরির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের কাছে দুধ সরবরাহ করা হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
দেবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেনÑ স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে আসে তাদেরকে দুধ খাওয়ানো হয়। তবে দুয়েকজন শিক্ষার্থী দুধ খায় না।